Sports
Pink Test: Sheikh Hasina visits Kolkata for eventful day
আজকে প্রথম দিনে বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে আল আউট করে দেয় ভারতের বোলারেরা।
দিনের শেষে, ভারত তিন উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করে। বিরাট কোহলী, ভারতের অধিনায়ক, দিনের শেষ ৫৯ রানে খেলছেন।
আগামীকাল এই খেলার দ্বিতীয় দিন শুরু হবে।
আজকের দিনটি বেশ অন্যরকম ছিল, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোলকাতাতে সফরে এসেছিলেন এই টেস্ট ম্যাচের জন্য।
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শেখ হাসিনার হাত ধরেই হয়েছে ইডেন গার্ডেনসের এই গোলাপি টেস্টের উদ্বোধন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইডেন গার্ডেনসের ঐতিহাসিক ঘণ্টা বাজিয়ে টেস্ট ম্যাচের উদ্বোধন ঘোষণা করেন দুই বাংলার নেত্রীদ্বয়। এসময় তাদের পাশেই ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডেরসভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। এছাড়া কলকাতা ক্রিকেটে অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
হোক তা ক্রিকেট কিংবা ফুটবলের বড় আসর, আন্তর্জাতিক ম্যাচে সময়-সুযোগ পেলে শত ব্যস্ততার মাঝেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঠে চলে আসেন, খেলা দেখেন। বাংলাদেশ যেখানেই খেলুক না কেন, তিনি ঠিকই দলের খোঁজখবর রাখেন। ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করেন। সাহস ও উদ্যম জোগান। নিজে ফোনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসানসহ ক্রিকেটারদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন।
শুক্রবার বাংলাদেশ ও ভারতের প্রথম গোলাপি বলের দিবারাত্রির ঐতিহাাসিক টেস্ট দেখতেও বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ইডেন গার্ডেনসে হাযির হন। দুই দেশের ঐতিহাসিক টেস্ট শুরুর আগে ক্রিকেটারদের সাথে পরিচিতি হন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও ছিলেন। তবে ঐ পরিচিতি পর্বির প্রধান আকর্ষণই ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। যেখানে তিনি ছিলেন স্বপ্রতিভ, প্রাণবন্ত ও প্রাণোচ্ছল।
প্রথমে স্বাগতিক ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে পরিচিতি পর্বে অধিনায়ক বিরাট কোহলি ক্রিকেটারদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি হাসি মুখে ক্রিকেটারদের সাথে করমর্দন করেন, শুভেচ্ছা জানান।
আর বাংলাদেশের ক্রিকেটারদেরকে আর তার পরিচয় করিয়ে দিতে হয়নি। তিনি প্রায় সবাইকে ভাল চেনেন।
টিভির পর্দায় দেখা গেলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রায় ক্রিকেটারের সাথে খুবই হাসিমুখে কথা বলেন। বোঝাই গেল, প্রায় সব ক্রিকেটারকেই তিনি উৎসাহ জোগালেন। ভাল খেলতে অনুপ্রাণিত ও শুভকামনায় সিক্ত করলেন।