Sports

Tamim's innings helps Bangladesh

Tamim's innings helps Bangladesh

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 03 Mar 2020, 11:36 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, মার্চ ৪ : মঙ্গলবার সিলেটে বাংলাদেশ শেষ হাসি হাসলেও কঁদতে বাকি ছিল না। তুলনামূলনকভাবে কমশক্তিধর জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের টুটি চেপে ধরেছিল। শেষ পর্যন্ত ৪ রানের জয় পাওয়ায় তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে এর কৃতিত্ব তামিম ইকবালের।

প্রথম ম্যাচে রান না পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে রেকর্ড করেছে ১৫৮ রান করে।

শেষ ৪৮ বলে জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল ৯৮ রান, হাতে মাত্র ৩ উইকেট। তখন পর্যন্ত তো হেসেখেলেই জেতার পথে বাংলাদেশ। কিন্তু পরের দিকে হঠাৎ স্বাগতিকদের মনে ঢুকে গেল ভয়। জিম্বাবুয়ের লোয়ার অর্ডারের ডোনাল্ড তিরিপানো আর তিনোতেন্দা মুতুমবজি চালিয়ে খেলে ম্যাচ প্রায় ঘুরিয়েই দিচ্ছিলেন।


এদিন তামিম আŸার স্বরূপে আবির্ভুত হন। ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ১৫৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তামিম। এটিই ছিল এতদিন পর্যন্ত তার এবং বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। এবার নিজেকেই ছাড়িয়ে গেলেন তামিম। ১৩৬  বলে  করেন ১৫৮ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস।


১০৬ বলে সেঞ্চুরি, ১৩২ বলে ১৫০। অর্থাৎ সেঞ্চুরির পরের ফিফটি তুলে নিতে তামিম খরচ করেছেন মোটে ২৬টি বল। নিজের দিনে তিনি কি করতে পারেন দেখিয়ে দিলেন সবাইকে।
ওপেনিংয়ে নেমে জিম্বাবুইয়ান বোলারদের চোখের পানি নাকের পানি এক করে ছাড়া তামিম শেষতক ফিরলেন ইনিংসের ৪৬তম ওভারে এসে। ছক্কা মারতে গিয়েই কার্ল মাম্বার বলে লং অন বাউন্ডারিতে ক্যাচ হয়েছেন দেশসেরা এই ওপেনার। এটি তামিমের ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি ইনিংস। সর্বশেষ সেঞ্চুরি এসেছিল ১৯ মাস আগে। ম্যাচের হিসেবে ২৩ ওয়ানডে পর।


প্রায় একযুগ আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই বাংলাদেশের পক্ষে প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস খেলার পর তামিম নিজে কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন অন্তত তিনবার। মুশফিকুর রহীম, ইমরুল কায়েসরা ফিরেছেন ১৪৪ রানে গিয়ে। এর আগে ২০০৭ সালে সাকিব আল হাসান অপরাজিত ছিলেন ১৩৪ রানে। কিন্তু কেউই পারেননি দেড়শ রানের মাইলফলকে যেতে। অবশেষে প্রায় ১১ বছর পর সেই তামিমই বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো পৌঁছলেন এই অর্জনে।