Sports
Will Bangladesh finally win a title?
ইতিহাস সাক্ষী দিচ্ছে ১৯৯৭ সালের এপ্রিলে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে কেনিয়াকে ফাইনালে হারিয়ে আইসিসির চ্যাম্পিয়ন হবার পর বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত যতগুলো তিন জাতি টুনামেন্ট খেলেছে, তার মাত্র একটিতে বিজয়ী হয়েছে।
তবে আগেই বলে রাখা ভাল, সেটা আন্তর্জাতিক স্বীকৃত কোন ত্রিদেশীয় সিরিজ নয়। সে সিরিজের রেকর্ড ও পরিসংখ্যান ধর্তব্য হলেও যেহেতু প্রতিপক্ষ ছিল আইসিসির সহযোগি সদস্য দেশ, তাই টুর্নামেন্টটি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে আসর হিসেবে মর্যাদা পায়নি।
এবার যেমন বিশ্বকাপ মাঠে গড়ানোর ঠিক ১২ দিন আগে আয়ারল্যান্ডে তিন জাতি ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি মাশরাফির দল, কাকতালীয়ভাবে ঠিক একযুগ আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বিশ্বকাপের ঠিক আগে আইসিসির দুই সহযোগি সদস্য কানাডা আর বারমুডার সঙ্গে তিন জাতি আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল হাবিবুল বাশারের দল।
সময়কাল ছিল ২০০৭ সালের ফেব্রয়ারী মাসে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তিন জাতি আসরে আইসিসির দুই সহযোগি সদস্য বারমুডা আর কানাডার বিপক্ষে জিতেই বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল টাইগাররা। সে আসরে বারমুডাকে ৮ উইকেটে আর কানাডাকে ১৩ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। তবে সেটা আন্তর্জাতিক আসরের ট্রফি জয় বলে গ্রহণযোগ্য হয়নি। কারণ বাকি দুই দল বারমুডা আর কানাডা আইসিসির সহযোগি সদস্য। এছাড়া সেই ১৯৯৭ সাল থেকে তিন জাতি টুর্নামেন্ট খেলে আসছে বাংলাদেশ। প্রথম তিন জাতি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ছিল ১৯৯৭ সালের অক্টোবরে, জিম্বাবুয়ের মাটিতে। স্বাগতিক কেনিয়া আর জিম্বাবুয়ে ছিল বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। ফাইনালে ওঠা বহু দূরে একটি ম্যাচও জিততে না পারা টাইগাররা দেশে ফেরত এসেছিল সব ম্যাচ হেরে।
এরপর ১৯৯৮ সালের জানুয়ারী মাসে ঘরের মাঠে স্বাধীনুার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারত, পাকিস্তানের সাথে ইন্ডিপেন্ডেন্টস কাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বাংলাদেশ। খুব স্বাভাবিকভাবেই দুই প্রবল প্রতিপক্ষের সঙ্গে পেরে ওঠেনি টাইগারররা। ভারত আর পাকিস্তানই ফাইনাল খেলে। সে আসরেও বাংলাদেশের জয় অধরাই ছিল।
একই বছর মানে ১৯৯৮ সালের মে মাসে ভারতের মাটিতে স্বাগতিক ভারত আর কেনিয়ার সাথে একটি ট্রাইনেশন খেলতে যায় বাংলাদেশ। সেখানেই ১৭ মে কেনিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথম ওয়ানডে জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। তারপরও ফাইনাল খেলা সম্ভব হয়নি। ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল কেনিয়া।