Travel

Bangladesh Biman has changed

Bangladesh Biman has changed

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 29 Dec 2019, 11:30 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ডিসেম্বর ২৯ : বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজগুলোর আগের অবস্থা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগে বিমান বহরের প্লেনগুলোর একেবারে ঝরঝর দশা ছিল। আজ সে অবস্থা নেই। এখন আমরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সম্পূর্ণ নতুন ড্রিমলাইনার যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিতা কেটে বিমানের বহরে যুক্ত হওয়া পঞ্চম ও ষষ্ঠ ড্রিমলাইনার ‘সোনার তরী’ ও ‘অচিন পাখি’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ দু’টি অউড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান বহরে ড্রিমলাইনারের সংখ্যা দাঁড়াল ৬, আর এয়ারক্র্যাফটের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮।


তিনি বলেন, আগে বিমান বহরে যে প্লেনগুলো ছিল, একেবারে ঝরঝর দশা ছিল, আমি যখন প্লেনে যেতাম, ঝরঝর করে পানি পড়ত। তোয়ালে-টিস্যু দিয়ে তা বন্ধ করতে হতো। এন্টারটেইনমেন্টের কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। বিমানের এই দুর্দশার জন্য ওই সময় সরকার পরিচালনাকারীদের দায়ী করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দোষটা ছিল তাদেরই যারা রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্বে ছিল। তারা এ দিকে নজর দেয়নি। আজ সে অবস্থা নেই। এখন আমরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সম্পূর্ণ নতুন ‘বোয়িং ৭৮৭ -৯’ সিরিজের পঞ্চম ও ষষ্ঠ ড্রিমলাইনার যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি।
বিমান বহরের উড়োজাহাজগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু বিমান কেনা নয়, এটা যেন যথাযথভাবে চলে এবং বিমানের যাত্রীসেবা বাড়ানো যায়, সাথে সাথে রক্ষণাবেক্ষণেও বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।


অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে বিমানের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য তিনটি উড়োজাহাজ আসছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়মাবলী সবাইকে মেনে চলারও নির্দেশ দেন।


বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, এখন আমরা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে চাই। সারাবিশ্বের পর্যটকরা এসে যেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৃশ্য উপভোগ করতে পারে। এত দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর আর কোথাও নেই।


২০০৮ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের সঙ্গে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার জন্য চুক্তি করে। সে অনুসারে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং চারটি বোয়িং ‘৭৮৭ -৯’ ড্রিমলাইনার বিমান বহরে যুক্ত হয়। গত সেপ্টেম্বরে বিমানের চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধনকালে রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্সটির জন্য আরও দু’টি ড্রিমলাইনার কেনার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। তারই ধারাবাহিকতায় এল ড্রিমলাইনার ‘সোনার তরী’ ও ‘অচিন পাখি’।