Travel

Bangladeshi aviation companies see a surge in domestic passengers
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান (ফাইল ছবি)।

Bangladeshi aviation companies see a surge in domestic passengers

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 10 Aug 2020, 07:55 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১০ আগস্ট ২০২০ : করোনা মহামারিতে দেশে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল আকাশপথের যোগাযোগ ব্যবস্থা। ধাপে ধাপে অভ্যন্তরীণ রুটগুলো খুলে দেয়া হলেও পাওয়া যাচ্ছিল না যাত্রী। তবে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে আবারও বেড়েছে আকাশপথের যাত্রী।

এয়ারলাইন্সগুলো জানায়, ঈদের কয়েকদিন আগে বাড়িফেরার জন্য সৈয়দপুর, বরিশাল, রাজশাহী রুটের টিকেটের প্রচুর চাহিদা ছিল। আর ঈদের পর কক্সবাজার রুটে প্রচুর সংখ্যক যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে। প্লেনের নির্ধারিত আসনের প্রায় ৮০ ভাগ যাত্রী নিয়ে কক্সবাজার যাচ্ছে এয়ারলাইন্সগুলো, যে সংখ্যা আগে ৫০ ভাগের নিচে ছিল।
প্রায় চার মাস বন্ধ থাকার পর ৩০ জুলাই থেকে কক্সবাজারে ফ্লাইট চালু হয়। ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ার এই রুটে প্রতিদিন ৩টি করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ঈদের ২ দিন আগে চালু হওয়া ফ্লাইটে প্রথম দিকে যাত্রী না থাকলেও এখন অনেকেই আকাশপথে ভ্রমণ করছেন কক্সবাজারে।
এয়ারলাইন্সগুলো বলছে, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে কক্সবাজারের ভাড়া এবার সর্বনিম্ন। মাত্র সাড়ে ৩ হাজার টাকায় মিলছে কক্সবাজারের টিকেট। এছাড়াও দুই এয়ারলাইন্সই তাদের গ্রাহকদের জন্য মূল ভাড়ায় ছাড়ের অফার দিয়েছে।
আগামী ১৬ আগস্ট থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স শুক্রবার ও রোববার সপ্তাহে দুইদিন এই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। তাদের ভাড়াও ৩৫০০ টাকা।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সেও ঈদের পর থেকে কক্সবাজার রুটের যাত্রী অনেক বেড়েছে। আগামী ১৭ আগস্ট থেকে কক্সবাজারের পর্যটন স্পটগুলো অফিশিয়ালি খুলে দেয়া পর যাত্রী সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে কক্সবাজারের পর্যটন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু না হলেও ঈদের তৃতীয়দিন থেকেই সরব হয়েছে সমুদ্র সৈকত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলেছে অধিকাংশ হোটেল ও রেস্টুরেন্ট।
এর আগে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ২৪ মার্চ থেকে অভ্যন্তরীণ সব রুটে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। ১ জুন থেকে অভ্যন্তরীণ রুট ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর এবং পরবর্তীতে যশোর রুটে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয় বেবিচক। তবে শর্ত দেয়া হয়, ফ্লাইটে যাত্রী থাকবে মোট সিটের ৭৫ শতাংশ। একই শর্তে পরবর্তীতে ধাপে ধাপে বরিশাল, রাজশাহী ও কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়।