Travel

Isolation after landing in Singapore, Bangladeshi expatriates will have to pay 1 lakh 36 thousand Singapore
File Picture Bangladeshi expats

Isolation after landing in Singapore, Bangladeshi expatriates will have to pay 1 lakh 36 thousand

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 29 Sep 2020, 01:02 pm

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ : দেশ থেকে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে যাওয়ার পর সিঙ্গাপুরেও করতে হবে করোনার পরীক্ষা। আগামী ১ অক্টোবর থেকে সিঙ্গাপুরে প্রবেশ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা। তবে সবাই নন, শুধু প্রবাসী শ্রমিক, চিকিৎসাপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। যদিও অনুমতির সঙ্গে একগাদা শর্তও জুড়ে দিয়েছে সিঙ্গাপুর সরকার।

ট্রাভেল এজেন্সিগুলো জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরে প্রবেশের আগে প্রবাসীদের কিছু নিয়মকানুন মানতে হবে। পাশাপাশি দেশটিতে পা রেখেই তাদের গুনতে হবে মোটা অঙ্কের অর্থ।

সিঙ্গাপুর সিভিল অ্যাভিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ফ্লাইটের টিকিট কেনার পূর্বশর্ত হিসেবে প্রবাসী শ্রমিকদের এজেন্সি বা স্পন্সরের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের (এমওএম) কাছ থেকে অনুমতিপত্র নিতে হবে। অনুমতিপত্র পেলেই কেবল তারা টিকিট কিনে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হতে পারবেন।

সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পর তাদের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত সতর্কতা হিসেবে ১৪ দিনের জন্য একটি হোটেলে আইসোলেশনে থাকতে হবে। হোটেলে থাকার জন্য আনুমানিক ২২০০ সিঙ্গাপুরিয়ান ডলার খরচ করতে হবে প্রবাসীদের। আইসোলেশনের জন্য বাংলাদেশ থেকে হোটেল বুকিং করেই কেবল সিঙ্গাপুরে প্রবেশ করতে পারবেন তারা।

প্রবাসীদের ভাষ্যে, ২২০০ সিঙ্গাপুরিয়ান ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক লাখ ৩৬ হাজার টাকা আইসোলেশন খরচ তাদের জন্য বর্তমান প্রেক্ষাপটে ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’।

প্রবাসীদের অতিরিক্ত খরচের বিষয়ে সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. তৌহেদুল ইসলাম বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে প্রবেশ করা প্রতিটি মানুষকেই কোয়ারেন্টাইন বা ইনস্টিটিউশনাল আইসোলেশনে থাকতে হয়। এমনকি একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের একজন মন্ত্রীকেও সিঙ্গাপুরে আইসোলেশনে থাকতে হয়েছে। আইসোলেশনের জন্য সিঙ্গাপুর কিছু প্রতিষ্ঠান বা হোটেলকে দায়িত্ব দিয়েছে। থাকা-খাওয়ার খরচ হিসেবে ওই প্রতিষ্ঠানই ২২০০ ডলার খরচ নেবে, সিঙ্গাপুর সরকার বা বাংলাদেশ সরকারের এখানে কিছুই করার নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের কর্মীরা যেসব কোম্পানিতে চাকরি করেন, সেই কোম্পানিকে এ ব্যয় করতে হবে বলে জানি। তবে যেসব প্রবাসীর বর্তমানে চাকরি নেই, তাদের সম্পূর্ণ নিজ খরচেই আইসোলেশনে থাকতে হবে।’

এ বিষয়ে ২৫ অক্টোবরের সিঙ্গাপুরের টিকিট কেনা সরদার ইসমাঈল হোসেন নামে এক প্রবাসী বলেন, ‘আমি সিঙ্গাপুরের একটি সুপারশপে কাজ করি। চার মাস ধরে কাজ নেই। আমার পক্ষে ২২০০ ডলার দেয়া অসম্ভব ছিল। তাই আমি আমার মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বিমানবন্দরে আমার জন্য ২২০০ ডলার পরিশোধ করবেন। তিনি জানিয়েছেন, পরে প্রতি মাসে আমার বেতন থেকে এই ফি’র একটা অংশ কেটে নেয়া হবে।’

খরচ এখানেই শেষ নয়। সিঙ্গাপুরগামীদের ঢাকা থেকে রওনা হওয়ার আগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে ‘নেগেটিভ’ সার্টিফিকেট সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি সবাইকে সিঙ্গাপুর পৌঁছে আবারও নিজ খরচে কোভিড-১৯ টেস্ট করাতে হবে।