Travel

পর্যটন কেন্দ্রগুলির উন্নয়ন চাইছেন বিশেষজ্ঞরা

পর্যটন কেন্দ্রগুলির উন্নয়ন চাইছেন বিশেষজ্ঞরা

| | 21 Jun 2014, 05:37 am
ঢাকা, জুন ২০-বাংলাদেশের পুরাতাত্মিক জায়গা এবং অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলির উন্নয়ন ঘটিয়ে সরকারের আরও বেশি সংখ্যক দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যটককে আকর্ষণ করা উচিৎ বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের  অনেক পুরাতাত্মিক অঞ্চলেই যে  বিদেশি পর্যটকরা আসতে আগ্রহ বোধ করেননা, তার কারণ  সেই সব জায়গার দূর্বল পরিকাঠামো এবং ঠিক এই জায়গাতেই উন্নতির জন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলির এক  সাথে কাজ করা দরকার, বলেছেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট  মোখলেসুর রহমান। তিনি বলেছেন  অথচ দেশেই রয়েছে  বহু সমুদ্র সৈকত, মসজিদ, মন্দির, জাদুঘর, বনাঞ্চল, দ্বীপ, পাহাড় আর ঝরনা, যে গুলির পর্যটককে আকর্ষণ করার সম্ভাবনা বিপুল। 
 
"স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে এই সব পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে যাতে আইন-শৃংখলার অবস্থা ভালো থাকে, তা নিশ্চিত করাও দরকার," তিনি বলেছেন।  রহমানের মতে এ ছাড়াও এই সব জায়গাগুলির ঠিক মত প্রচার না হওয়ার ফলে পর্যটন শিল্প এগিয়ে যেতে পারছেনা।
 
ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট তৌফিক রহমান বলেছেন,  নিজেদের পাঁচ তারা বলে দাবি করা  কক্স বাজারের বহু হোটেলেই বিদেশি পর্যটকদের পরিষেবা দেওয়ার মত ভালো রেস্তোরাঁ অথবা বার নেই। যদি বিদেশি পর্যটদের আকর্ষণ করতে হয়, তবে হোটেল মালিকদের উচিৎ এই সব সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা, তিনি বলেন।
 
উদাহরণ হিসেবে তৌফিক বলেছেন, সুন্দরবনে রাত কাটানোর জন্য কোনও রেসর্টই নেই। এ ছাড়া যথেষ্ট সংখ্যক পেশাদার ট্যুর গাইড অথবা দোভাষীরও দেশে খুবই অভাব।
 
বাংলাদেশের চারটি পুরাতাত্মিক অঞ্চলে উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক বাংলাদেশকে ১২ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই প্রকল্পের গোষ্ঠী পর্যটন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ সৈয়দ মাহমুদ ফারুক হাসান।
 
ওই জায়গাগুলি হল, বাগেরহাট মসজিদ চত্বর, পাহাড়পুর মহাবীর, মহাস্থানগড় এবং কান্তাজী মন্দির, তিনি জানিয়েছেন।
 
এই প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে ২০১৬ সালে এবং এর মোট খরচ ধরা হয়েছে ১৫.৬৫ মিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ৩.৬৫ মিলিয়ন এবং বাকিটা এডিবি। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য, পরিকাঠামোর  এবং পর্যটক পরিষেবার উন্নতি ঘটানো, স্থান মাহাত্ম্য সন্মন্ধে সচেতনতা বাড়ানো এবং পর্যটন বিপণনের ব্যবস্থা করা।