Travel
Train to go directly from Dhaka to Darjeeling
ভারতের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে চিলাহাটি ও চিলাহাটি বর্ডারের মধ্যে রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পটি মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠেয় জাতীয় অর্থনৈতিক নির্বাহী পরিষদের (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে। একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের রেল পরিবহন উইংয়ের উপ-প্রধান পরিমল চন্দ্র বসু বলেন, রেলপথে ফের ঢাকা থেকে দার্জিলিং যাওয়ার অবকাঠামোগত সুবিধা তৈরি করতে যাচ্ছে সরকার। এই সুবিধা আগেই ছিল। পুনরায় উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রকল্পটি মঙ্গলবার একনেকে অনুমোদন দেওয়া হবে বলে আশা করছি।
‘চিলাহাটি-হলদিবাড়ি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট চালুর লক্ষ্যে চিলাহাটি অংশে সাত কিলোমিটার এবং ভারতের হলদিবাড়ি অংশে তিন কিলোমিটার রেলপথ পুনরায় নির্মাণ করা হবে। মোট ১০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করলেই দু’দেশের মধ্যে এই করিডোরে রেল যোগাযোগ পুনঃস্থাপিু হবে।’
‘বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট বহু পুরাতন। এ দু’টি স্টেশনের নতুন করে সংযোগ সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি। আমরা এটা চালু করতে পারলে পরবর্তী জেনারেশন উপকৃত হবে। পাশাপাশি আমরা আর্থিকভাবেও উপকৃত হবো। কেননা মানুষের চলাচলের পাশাপাশি স্টেশন দু’টি চালু হলে মংলা বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বাড়বে। নেপাল-ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রমও বাড়বে। এই লক্ষ্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা প্রকল্প নিতে যাচ্ছি।’
চিলাহাটি থেকে চিলাহাটি বর্ডার পর্যন্ত ব্রডগেজ কানেক্টিভিটি স্থাপনের মাধ্যমে উপ-আঞ্চলিক রেল সংযোগ স্থাপিত হবে। উদ্যোগটি বাস্তবায়িত হলে এই করিডোর দিয়ে ভারতের শিলিগুড়ি হয়ে দার্জিলিং পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন পরিচালনার দুয়ার উন্মোচিত হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভারতের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে চিলাহাটি ও চিলাহাটি বর্ডারের মধ্যে রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। চলতি সময় থেকে জুন ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশ অংশের কাজ শেষ হবে। ২০১৭ সালে ভারতের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের স্টেশন দু’টির অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক। ভারত বিভাজনের আগে এ করিডোর দিয়ে ভারতের শিলিগুড়ি হয়ে দার্জিলিং পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন পরিচালনা করা হতো। তখন এই করিডোর দুই বাংলার অর্থনৈতিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল। তবে ভারত বিভক্তির পর ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ির মধ্যে সরাসরি ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।