World
Xi Jinping visiting Myanmar, real face of China unveiled
১৯ বছর পর চীনের কোনো প্রেসিডেন্টের এটাই প্রথম মিয়ানমার সফর। অপরদিকে ক্ষমতায় আসার পর শি জিনপিংয়েরও এটাই প্রথম সফর। শি জিনপিং-এর এই সফরকালে রাখাইন রাজ্যে ১৩০ কোটি ডলার ব্যয়ে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।
এই সফর এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন রাখাইনে গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) দাঁড় করিয়েছে গাম্বিয়া। এর ফলে দৃশ্যত: রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমি রাখাইনে প্রত্যাবসনের উদ্যোগ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিল চীন। এখন এটা সবার কাছে পরিষ্কার যে বাংলাদেশ নয়, মিয়ানমারের ঘনিষ্ট হতে চায় চীন।
চীনা প্রেসিডেন্টের এই সফরকে চীনের গ্লোবাল বেল্ট ও রোড উদ্যোগের অংশ হিসেবেও দেখা হচ্ছে। মিয়ানমারের ডেপুটি বাণিজ্যমন্ত্রী অং জেঁইয়ের বরাতে বলা হয়, জিনপিং তার সফরে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিনত ও সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। সফরকালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি ৩৩টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করেছেন।
২০১৩ সালে ক্ষমতায় আসেন শি জিনপিং। ইতোমধ্যে আসিয়ানভুক্ত সব দেশ সফর করেছেন তিনি। শুধু বাকি ছিল মিয়ানমার। বিশ্লেষকরা বলছেন, ঐতিহাসিক এই সফরের মাধ্যমে মূলত মিয়ানমারকে কাছে পেতে চাইছে চীন। আর এটা চীনের স্বার্থেই-গ্লোবাল বেল্ট ও রোড উদ্যোগেরই অংশ।
২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কঠোর অভিযানে ৭ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছে। জাতিসংঘের তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলেন, অভিযানে ১০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। রাখাইনে মিয়ানমারের গণহত্যার অভিযোগ এনে দেশটিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) দাঁড় করিয়েছে গাম্বিয়া। এমতাবস্থায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক চাপে রয়েছে মিয়ানমার। সেই মুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই সফর দেশটির পাশে দাঁড়ানোরই শামিল চীনের।
গত বছরের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক আদালতে গাম্বিয়ার মামলার পর মিয়ানমার চীনের সঙ্গে আরও সম্পর্ক জোরদার করতে থাকে। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন করে বাস্তুচ্যুত করার সময়ও চীনের ভূমিকা ছিল কার্যত মিয়ানমারের পক্ষেই। তবে জিনপিংয়ের এই সফরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো আলোচনা হবে কিনা তা জানা যায়নি।