Entertainment
শেষ হল 'পঞ্চদশের পঞ্চদিন' নাট্যোৎসব
ঢাকাঃ বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির ন্যাশনাল থিয়েটার হলে পাঁচ দিনের থিয়েটার উৎসব সম্প্রতি শেষ হল নাট্যতীর্থের প্রথম প্রযোজনা কমলা সুন্দরীর পঞ্চাশতম মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে।
নাট্যতীর্থ আয়োজিত \'পঞ্চদশের পঞ্চদিন\' নামের এই উৎসবের পাঁচ দিনে চারটি নাট্যদলের মোট পাঁচটি নাটকের পঞ্চাশতম অভিনয় মঞ্চস্থ করা হল। কমলাসুন্দরী বাদ দিয়ে বাকী নাটকগুলি হলঃ লোক নাট্যদলের মাঝরাত্রের মানুষেরা, থিয়েটার আর্ট ইউনিটের আমিনা সুন্দরী, সময়ের শেষ সংলাপ এবং নাট্যতীর্থের দ্বীপ।
শেষ দিনের নাটকটি ময়মনসিংহের লোকগীতি কমলাসুন্দরীর পালার নাট্য অভিযোজন, আবদুল হালিম আজিজের কলমে।
বাঁশের বাঁশি, খোল এবং হারমোনিয়ামের শব্দানুসঙ্গে মঞ্চে অভিনেতারা স্বতঃস্ফূর্ত চরিত্রায়ন ঘটিয়েছেন।কস্ট্যুম কিন্তু সবার প্রায় একই ছিল, রঙ এবং নকশার সামান্য ভিন্নতা ছাড়া।" কস্ট্যুম সবার জন্যই এক রাখা হয়েছে এই কারনে যে, দূর অতীতে কী ধরনের পোষাক পরা হত তা এখন বোঝা মুশকিল। পোষাকে অল্প যা বৈচিত্র রাখা হয়েছে তা বিভিন্ন চরিত্রগুলিকে আলাদা করে দেখাবার জন্য। যেমন, রাজার পোষাকের সঙ্গে একটি কাজকরা স্টোল যোগ করা হয়েছে," কমলাসুন্দরীর নির্দেশক তপন হাফিজ," জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কমলাসুন্দরীর দৃশ্যপট, যা অন্যান্য শহুরে নাটকগুলির তুলনায় স্বল্প, তা নিয়েও পরীক্ষা করা হয়েছে।
নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার আগে একটি সংক্ষিপ্ত সমাপ্তি অনুষ্ঠানে আয়োজক দলের পক্ষ থেকে থিয়েটারে অসামান্য অবদান রাখার জন্য আবদুল হালিম আজিজকে সম্মানিত করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির ডিরেক্টর জেনারেল লিয়াকত আলি লাকি প্রাপকের হাতে এই সাম্মানিক পুরষ্কার তুলে দেন।