Entertainment
উচ্চবিত্তদের বাসায় ডেকে ব্ল্যাকমেইল, তিন দিনের রিমান্ডে পিয়াসা-মৌ
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৩ আগস্ট ২০২১: রাজধানীর বারিধারা থেকে মডেল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসা এবং মোহাম্মদপুরের বাবর রোড থেকে আটক মরিয়ম আক্তার মৌ একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তারা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পার্টির নামে বাসায় ডেকে মদ ও ইয়াবা খাইয়ে আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করতেন।
রোববার (১ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মৌ-এর বাসার নিচে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (উত্তর) শাখার যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশীদ।
তিনি বলেন, ‘তারা দুইজন একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে আমরা অনেক ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ পেয়েছি। সেসব ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে তাদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। দুইজনের বাসায় বিদেশি মদ, ইয়াবা, সিসা পাওয়া যায়। মৌয়ের বাড়িতে মদের বারও ছিল।’
ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আটক দুই মডেল হচ্ছেন রাতের রাণী। তারা দিনের বেলায় ঘুমাতেন এবং রাতে এসব কর্মকাণ্ড করতেন। উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পার্টির নামে বাসায় ডেকে আনতেন তারা। বাসায় আসলে তারা তাদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলতেন এবং ভিডিও করে রাখতেন। পরবর্তীতে সেসব ভিডিও এবং ছবি ভিকটিমদের পরিবারকে পাঠানোর হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতেন এবং মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন।’
এদিকে মাদকসহ রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার হওয়া মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এবং মরিয়ম আক্তার মৌকে তিনদিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। সোমবার (২ আগস্ট) দুই মডেলকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে আনা হয় আলোচিত ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এবং মরিয়ম আক্তার মৌকে।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পিয়াসা এবং মৌ এই দুই জন দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের নিজ বাসায় মাদকের আড্ডা বসিয়ে নিরীহ মানুষের সাথে প্রতারণা ও ব্লাকমেইল করতো। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ মৌকে মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় এবং পিয়াসাকে গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত দুই জনের তিন দিন করে রিমান্ড মন্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক এই মামলা এবং গ্রেপ্তারি অভিযান পরিচলনা করেছে পুলিশ। তাই তারা রিমান্ডের বিরোধিতা করে আদালতের কাছে জামিন প্রত্যাশা করেছিলেন।