Entertainment

পরীমনিকে ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টা: নাসির-অমির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ পরীমনি | ধর্ষণ-হত্যার চেষ্টা
সংগৃহিত বাম থেকে ডানে: অভিনেত্রী পরীমনি, অভিযুক্ত মাহমুদ ও অমি

পরীমনিকে ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টা: নাসির-অমির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 14 Dec 2021, 12:09 pm

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১: রাজধানীর বোট ক্লাবে পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রের (চার্জশিট) গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। অপর দিকে মামলার পলাতক আসামি শহীদুল আলমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন চার্জশিট গ্রহণ করেন।

পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত শুনানিতে বলেন, 'আসামিরা জামিনের পর পরীমনিকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে। আমরা আসামি নাসির ও অমির জামিন বাতিলের আবেদন করছি। এছাড়া মামলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী, সিসি ফুটেজ কয়েকজনের সাক্ষী তদন্তে উঠে আসেনি। তাই আমরা চার্জশিটের ওপর নারাজি দিয়েছি।'

এদিকে, নাসির ও অমির আইনজীবী তাদের জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তারা বলেন, 'জামিনের কোনো শর্তভঙ্গ করেননি তারা। তাই তাদের জামিন আবেদন করছি।'

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আদালত তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এছাড়া নারাজির আবেদনের আদেশ পরে দেবেন বলে জানান। এ মামলায় নাসির ও অমি ছাড়া শহিদুল আলম নামে একজন আসামি পলাতক রয়েছেন।

এর আগে সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন।

গত ১৪ জুন ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে পরীমনি ঢাকার সাভার থানায় মামলা করেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয় পুলিশ।

পরীমনির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় করা মাদক মামলায় সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ১৫ জুন সাভার থানার পুলিশ পরিদর্শক কামাল হোসেন তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। নাসির ও অমি মাদক মামলায় রিমান্ডে যাওয়ায় ওই দিন রিমান্ড শুনানি হয়নি। মাদক মামলায় রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।