Entertainment

পরীমনির ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টা মামলা: নাসির-অমির বিরুদ্ধে চার্জশিট পরীমনির ধর্ষণ মামলা
সংগৃহিত আসামী নাসির ও অমি, ইনসেটে বাদিনী পরী

পরীমনির ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টা মামলা: নাসির-অমির বিরুদ্ধে চার্জশিট

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 07 Sep 2021, 09:17 am

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১: ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনির মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামি হলেন শাহ শহিদুল ইসলাম। তিনি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন।

এর আগে গত ১৪ জুন ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে পরীমনি সাভার থানায় মামলা করেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয় পুলিশ।

পরীমনির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় করা মাদক মামলায় সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘গত ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বনানীর বাসা থেকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি (৩০), অমি (৪০) ও বনিসহ (২০) দুটি গাড়িতে করে তারা উত্তরার উদ্দেশে রওনা হন। পথে অমি বলে বেড়িবাঁধের ঢাকা বোট ক্লাবে তার দুই মিনিটের কাজ আছে। অমির কথামতো তারা সবাই রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করায়। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তখন ঢাকা বোট ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেয়।

'অমি ক্লাবের ভেতরে গিয়ে বলে এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর, তোমরা নামলে নামতে পারো। তখন আমার ছোট বোন বনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বোট ক্লাবে প্রবেশ করে ও বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করে। টয়লেট থেকে বের হতেই এক নম্বর বিবাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন ও কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ এক নম্বর আসামি মদপানের জন্য জোর করেন। আমি মদপান করতে না চাইলে এক নম্বর আসামি জোর করে আমার মুখে মদের বোতল প্রবেশ করিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এতে আমি সামনের দাঁতে ও ঠোঁটে আঘাত পাই।

'এক নম্বর আসামি (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেন এবং আমাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।'