Entertainment
আদালতে কথা বলতে না পারলে কোথায় বলবো: পরীমনি
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২২: ‘ঢাকার বোট ক্লাবে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের অনেক পাওয়ার (ক্ষমতা)। সেখানে কাউকে রেপ (ধর্ষণ) করার জন্য তাদের কোনো রুমের প্রয়োজন হয় না। তারা ফোন করলে সেখানে লাইট বন্ধ হয়ে যায়। তারা সেখানে খেলার মাঠের মতো যে কোনো মেয়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন।’
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের (চার্জগঠন) শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে উত্তেজিত হয়ে আদালতে এসব কথা বলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।
পরীমনি উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, আমাকে রাত ১২টায় তারা ফোর্স করে বোট ক্লাবে ডেকে নিয়ে যান। আমি সেখানে শর্টপ্যান্ট পরে যাই। শর্টপ্যান্ট পরে সেখানে ঢোকার নিয়ম নেই। তাদের ক্ষমতার জোরে আমাকে সেখানে প্রবেশ করান।
প্রায় ঘণ্টাখানেক শুনানি চলায় আইনজীবীরা তাকে থামতে বলেন। এসময় পরীমনি বলেন, ‘আমি এখানে কথা বলতে না পারলে কোথায় বলবো?’
এর আগে সকাল ৯টা ৫৩ মিনিটে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ নং আদালতে উপস্থিত হন মামলার বাদী পরীমনি। তার উপস্থিতিতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
অপরদিকে নাসিরসহ তিন আসামি আদালতে হাজিরা প্রদান করেন। এসময় তাদের আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। পরীমনির আইনজীবী অভিযোগ গঠন করতে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক এ বিষয় আদেশের জন্য ১৮ মে দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ৩ মার্চ ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন চার্জগঠনের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ওই বছরের ১৪ জুন ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে পরীমনি ঢাকার সাভার থানায় মামলা করেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয় পুলিশ।