Muktijudho

৩০ হাজার অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পাবেন ঘর বীর নিবাস
সংগৃহিত বীর নিবাস

৩০ হাজার অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পাবেন ঘর

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 16 Mar 2021, 01:07 pm

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৬ মার্চ ২০২১: অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের ৩০ হাজার ঘর বা বীর নিবাস নির্মাণ করে দেবে সরকার। তাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে উপহার হিসেবে বীর নিবাসগুলো দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ লক্ষ্যে ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় আজ মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) অনুমোদন হতে যাচ্ছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (মহানগর সংশ্লিষ্ট) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এতে খরচ হবে ৪ হাজার ১২২ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। পুরো অর্থই সরকারি কোষাগার থেকে খরচ করা হবে। দেশের সবগুলো বিভাগের ৬৪টি জেলার সব উপজেলা ও মহানগরে বাস্তবায়ন হবে প্রকল্পটি।

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা সুখবর পেতে যাচ্ছেন। তাদের বীর নিবাস করে দেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়েছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা পাবেন এ ঘর। যারা একেবারে পঙ্গু, কিছুই করতে পারেন না, তারাও পাবেন।’

অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারাই যে ঘরগুলো পাবেন, তা কীভাবে নিশ্চিত করা হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের শনাক্ত করার জন্য নীতিমালা আছে, তিনটা কমিটি আছে।

প্রথমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বাছাই করবেন। তারপর কারও আপত্তি থাকলে জেলা প্রশাসকের কাছে জানাতে পারবেন। সেখানেও ন্যায়বিচার না পেলে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপত্তি জানানো যাবে। তারপরও যদি কেউ আপত্তি করে যে, ন্যায়বিচার পাননি, তাহলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আপত্তি জানিয়ে আবেদন করতে পারবে। এ সংক্রান্ত যে কমিটি আছে, তারা সরাসরি গিয়ে দেখবে যে, সেই মুক্তিযোদ্ধা অসচ্ছল কি না।’

প্রকল্পটি চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এ প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলো হলো ৩০ হাজার বীর নিবাস নির্মাণ, অফিস সরঞ্জামাদি ক্রয়, আউট সোর্সিং সেবা ক্রয়, আসবাবপত্র ক্রয়, সম্মানি/পারিতোষিক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি ইত্যাদি কেনা।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের মতামত ছিল- প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে।

সর্বশেষ শিরোনাম

মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির Fri, Mar 29 2024

রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রত্যাখ্যান বীর মুক্তিযোদ্ধার Tue, Mar 05 2024

সুগন্ধা বিচের নাম ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ করার নির্দেশনা বাতিল করল মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় Tue, Feb 27 2024

মেডিকেল ভর্তিতে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণের নির্দেশ Fri, Feb 02 2024

সেবা নিতে আসা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি করা যাবে না Fri, Dec 29 2023

মহান বিজয় দিবস আজ Sat, Dec 16 2023

মহান বিজয় দিবস : জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা Sat, Dec 16 2023

মহান বিজয়ের মাস শুরু Fri, Dec 01 2023

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখক সাংবাদিক গীতা মেহতা আর নেই Mon, Sep 18 2023

সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান আর নেই Mon, Aug 28 2023