Muktijudho
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ করা হবে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৩০ মার্চ ২০২১: মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত সব ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ করা হবে।
সোমবার বাংলা একাডেমিতে ‘গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র’ এবং ‘১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ আয়োজিত দিনব্যাপী সেমিনারের দ্বিতীয় অধিবেশন ও ‘গণহত্যার নতুন হিসাব’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, "মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২৮১টি বধ্যভূমি ও ৩৬০টি ঐতিহাসিক স্থান প্রকল্পের মাধ্যমে সংরক্ষণ করছে। এছাড়া গবেষকরা তাদের গবেষণা ও জরিপের মাধ্যমে যে সমস্ত গণকবর ও বধ্যভূমির সন্ধান পাবে সেগুলোও প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করে সংরক্ষণ করা হবে।"
নতুন জরিপে সহস্রাধিক বধ্যভূমি ও গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে সেমিনারে উল্লেখ করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, "মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের গল্পের পাশাপাশি বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার চিত্রও তুলে ধরতে হবে।"
গণহত্যার চিত্র বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে বিভিন্ন ভাষায় বই লিখতে এবং অনুবাদ করতে মন্ত্রী গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
গণহত্যা জাদুঘরের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে আলোচনায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
এছাড়া ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ট্রাস্টি সম্পাদক চৌধুরী শহীদ কাদেরসহ জরিপে অংশ নেয়া গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।