Muktijudho
মোল্লাঃ জামাতের হরতাল অসফল
ঢাকা, সেপ্টেম্বর ১৮: যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসির সাজার প্রতিবাদে ডাকা বাংলাদেশ জামাত-এ-ইসলামীর ৪৮ ঘণ্টার দেশব্যাপী হরতাল প্রথম দিনেই অসফল হয়।
বুধবার সকাল থেকেই সব দোকানপাট ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলি খোলা থাকে। যদিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি সাবধানতা অবলম্বন করতে বন্ধ রাখা হয়।
সরকারি ও বেসরকারি বাস ঢাকায় স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করে; যদিও কোন দূরপাল্লার বাস ঢাকা ছাড়ে নি না বেরোয় নি।
অতিরিক্ত পুলিশকর্মী নিয়োগ করা হয় সারা দেশে।
দেশের কোন প্রান্ত থেকে কোন ভাংচুর বা হিংসাত্মক তাণ্ডবের খবর পাওয়া যায় নি সারা দিন।
আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বুধবার জানান বিরোধী দল বিএনপির নেতারা তাঁদের মানসিক স্থিতি হারিয়েছেন ও বোবা হয়ে গেছেন তাঁদের "জাতভাই", মোল্লার ফাঁসির খবর শুনে।
"যেভাবে পর পর তাদের জাতভাইদের সাজা শোনানো হচ্ছে, তাতে বিএনপি বোবা হয়ে গেছেন। তাই তারা সংবাদমাধ্যমকে কোন প্রতিক্রিয়া জানাতে পারছেন না," হামিফ বলেন।
অন্যদিকে, যুদ্ধাপরাধী জামাত-এ-ইসলামী নেতা আবদুল কাদের মোল্লা তাঁকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের একটি সম্পূর্ণ বিবৃতির আবেদন করেছেন, তাঁর উকিল জানান বুধবার।
মোল্লার তরফ থেকে তাঁর অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জাইনুল আবেদিন এই আবেদন দায়ের করেন।
মোল্লা তাঁকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে একটি রিভিউ পিটিশান দায়ের করবেন। একথা জানান মোল্লার প্রধান প্রতিরক্ষা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।
"সুপ্রিম কোর্টের রায় ভুল। আমার মক্কেল ৩০ দিনের মধ্যে একটি রিভিউ পিটিশান দায়ের করবেন আদালতের রায়ের পুরো বিবৃতি পাওয়ার পরেই," রাজ্জাক জানান মঙ্গলবার।
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার মোল্লাকে ফাঁসির নির্দেশ দেয় ১৯৭১এ মুক্তিযুদ্ধের সময় করা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শাস্তিস্বরূপ।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সোমবার জানায় মোল্লার দায়ের করা দুটি আবেদনের ওপর রায় শোনানো হবে মঙ্গলবার।
মোল্লা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২এর শোনানো যাবজ্জীবনের সাজার বিরুদ্ধে আবেদন করেন।
মোল্লাকে জুলাই ১৩, ২০১০-এ গ্রেফতারিত ঘোষণা করা হয় ১৯৭১-এ বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় ৩৪৫ মানুষ খুন করার অভিযোগে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ ফেব্রুয়ারি ৫ তারিখে জামাতের সহকারী মহাসচিব মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনায় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে।
৬৫ বর্ষীয় নেতাকে পাঁচটি যুদ্ধকালীন অপরাধমূলক মামলায় দোষী পাওয়া যায়।
