Muktijudho
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২: রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নির্দিষ্ট স্থান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ কথা জানান। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নস্যাৎ করার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণের জায়গায় শিশুপার্ক নির্মাণ করেছিলেন। আমরা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নির্দিষ্ট স্থান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার হিসেবে সংরক্ষণ করতে চাই। যেখানে মানুষ গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবে।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব স্থানে যুদ্ধ হয়েছিল, সেসব স্থান আমরা সংরক্ষণ করছি। বধ্যভূমিগুলোও সংরক্ষণ করছি। এ ছাড়া যদি কোনো মুক্তিযোদ্ধা মারা যান তাদের একই রকম ডিজাইনের কবর দেওয়া হবে। যেন ৫০ বছর পরেও একটি কবর দেখে বোঝা যায়, এটি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর। তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখন ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এ ছাড়া অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার বীর নিবাস নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিনামূল্যে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, জেলা, উপজেলাসহ দেশের বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা, ওষুধ, টেস্ট যা প্রয়োজন সবই বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এখনও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমরা আজ শপথ নিচ্ছি- সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের এই ষড়যন্ত্র রুখে দেবো।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারই সবসময় কাজ করেছে এবং করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অন্যরা যখন ক্ষমতায় ছিল শুধু লুটপাট করেছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রশাসক ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক মো. জহুরুল ইসলাম রোহেল। বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) সহ বিভিন্ন সময়ে নির্বাচিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতারা।