Sports
টেস্ট চ্যাম্পিয়ন্সশিপে প্রথম পয়েন্টের সুবাতাস পাচ্ছে বাংলাদেশ দল
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ : চলতি চট্টগ্রাম টেস্টে যেন ব্যাটে-বলে পুরোদস্তুর অলরাউন্ডার বনে গেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি ও ৪ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও স্পিন ঘূর্ণিতে ঘায়েল করেছেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের। মিরাজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদেই মূলতঃ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার পয়েন্টের সুবাতাস পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। ম্যাচের শেষদিন আর ৭ উইকেট নিলেই জিতে যাবে বাংলাদেশ।
বৃষ্টির বাগড়া ছাড়া প্রায় আড়াই বছর পর পঞ্চম দিনে গড়াল বাংলাদেশ দলের টেস্ট। সবশেষ ২০১৮ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কোনো টেস্টে পাঁচ দিন খেলেছিল বাংলাদেশ এবং ম্যাচ জিতেছিল ২১৮ রানের বড় ব্যবধানে। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও বড় জয়ের আশা টাইগারাদের। শেষদিনে ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ম্যাচ জিততে আরও ২৮৫ রান করতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক মুমিনুল হকের টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরির সঙ্গে লিটন দাসের ৬৯ রানের ইনিংসের সুবাদে ৮ উইকেটে ২২২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৯৫ রানের। জবাবে মেহেদি মিরাজের ৩ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দিন শেষ করেছে ৩ উইকেটে ১১০ রান নিয়ে।
দ্বিতীয় সেশনের প্রায় ৪০ মিনিট বাকি থাকতে ইনিংস ঘোষণা করে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে নামানো হয় ৩০ মিনিটে। সেই ত্রিশ মিনিটে খেলা ৭ ওভারে কোনো উইকেট হারায়নি তারা, রান করে ১৮। তবে মোস্তাফিজুর রহমানের বিপক্ষে খুব একটা স্বচ্ছন্দেও খেলতে পারেননি ক্রেইগ ব্রাথওয়েট, জন ক্যাম্পবেলরা।
চা পানের বিরতির পর আর আক্রমণে রাখা হয়নি মোস্তাফিজকে, দুই প্রান্ত থেকেই স্পিনার আনেন মুমিনুল। সেশনের প্রথম ওভারেই একটি রিভিউ হারায় বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলামের বল ব্রাথওয়েটের ব্যাটের পাশ ঘেঁষে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে। আম্পায়ার আউট দেননি, কট বিহাইন্ডের জন্য রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিপ্লেতে দেখা যায় ব্যাটের বেশ দূর দিয়ে গিয়েছে সেই বলটি।
পরের ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আসেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তার প্রথম দুই ওভার থেকে তিন চারের মারে ১৪ রান তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সুইপ শটের মাধ্যমে তিনটি চারই হাঁকান ক্যাম্পবেল। মিরাজের বিপক্ষে সুইপে সফল হওয়ায় বারবার একই শট খেলতে থাকেন তিনি। এতে নিজের বিপদই ডেকে আনেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
২৮৫ রান।