Sports
আমি মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ দাঁড়াবে না: পাপনের আক্ষেপ
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১: মাঝে মনে হয়েছিল- নাজমুল হাসান পাপন বিসিবি সভাপতির পদ ছেড়ে দেবেন। বলেছিলেন, চিকিৎসক চাপ নিতে নিষেধ করেছেন, তাই দায়িত্ব কমাতে চান। একারণে পাপনের সরে যাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল গুঞ্জন। তবে সেটা যে নিছক অনুমান, তার প্রমাণ খোদ পাপনই দিলেন। মঙ্গলবার বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের শেষ সভাশেষে অনেক কথার ভিড়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি এবারও বোর্ডের প্রধানই থাকছেন এবং তাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো কেউ নেই।
পাপনের সোজাসাপ্টা কথা, ‘আমার একটা জিনিস মনে হচ্ছে যে, আমি মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত এ পদটায় (সভাপতি) কেউ দাঁড়াবেন না।’
তবে বিসিবি সভাপতির ব্যাপারটিও পছন্দ হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘বোর্ডে যারাই আসে তারা আমাকে চ্যালেঞ্জ জানাক। কেউ বলুক, সভাপতি হতে চাই। কিন্তু কেউ তো বলেও না! এটা ভালো লক্ষণ নয়।’
নেতৃত্বে পরিবর্তন আসা উচিত, এমনটাই বিশ্বাস করেন পাপন। তার ভাষায়, ‘কারও জন্য কিছু আটকে থাকে না। আমাদের একটা পাইপলাইন থাকা উচিত, যেখানে নতুন নেতৃত্ব আসবে। নেতৃত্ব দেওয়ার মতো লোক আছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো, কেউ আসতে চায় না। প্যানেল দিলে কেউ দাঁড়ায়ই না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন উম্মুক্ত থাকুক।’
প্রথমবার নির্বাচন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদ পেলেও দ্বিতীয়বার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপান। এবারও সেই পথেই হাঁটছেন তিনি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কাউকেই পাওয়া যাচ্ছে না। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী থাকুক আর না থাকুক, কোনও প্যানেল গঠন করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিসিবির বর্তমান সভাপতি। যে কেউ দাঁড়ানোর এখতিয়ার রাখে বলে মঙ্গলবার বোর্ড সভা শেষে জানিয়েছেন তিনি।
বিসিবি নির্বাচনের দিনক্ষণ এগিয়ে আসছে। চলতি মাসেই শেষ হয়ে যাবে বিসিবি সভাপতি হিসেবে পাপনের মেয়াদ। সরকারের মনোনয়নে ২০১২ সালের অক্টোবরে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি। ২০১৩ সালের অক্টোবরের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি। প্রথমবারের মতো ২০১৭ সালেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বোর্ড সভাপতি হন তিনি। এবার তৃতীয় দফায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও আগেরবারের মতো সেই উত্তাপ নেই।