Column

দেশদ্রোহী জামাত-শিবিরের তান্ডবঃ চাই জনতার রায়

দেশদ্রোহী জামাত-শিবিরের তান্ডবঃ চাই জনতার রায়

| | 27 May 2013, 11:25 am
মসজিদের লাউডস্পীকার বাজছেঃ মানুষকে আহ্বান করা হচ্ছে লাঠিসোঁটা , ইঁট-পাথর নিয়ে জড়ো হতে। আক্রমণ চলল বাছা বাছা বাড়ি, দোকানপাটের উপর, চলছে সম্পত্তি ধ্বংসের খেলা। আইন শৃংখলা রক্ষায় এসে পুলিশ পড়ল জামাত-এ-ইসলামি এবং তার জোট সঙ্গী বি এন পি কর্মীদের আক্রমণের মুখে। প্রকাশ্য দিবালোকে একজন পুলিশ অফিসারের মাথা ভেঙ্গে দেওয়া হল ইঁট দিয়ে। শুধু সাধারন পুলিশই নয়, র‍্যাব, বি জি বি এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের উপর জামাত ও তার রাজনৈতিক মিত্রের আক্রমণ বেড়েই চলেছে। এই নৈরাজ্য, রক্তপাত এবং বিশৃংখলা, যা এখন বাংলাদেশের নিত্যদিনের ঘটনা, দেশদ্রোহীতারই নামান্তর।

 গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকারের নীতি ও কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের পূর্ন অধিকার সমস্ত বিরোধী দলেরই আছে। তারই অঙ্গ হিসেবে যেমন তারা সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব এনে সরকারের পতন ঘটাতে পারে, তেমনই বাইরে, রাস্তায় বিক্ষোভ-আন্দোলন সংগঠিত করতে পারে। এইসব আন্দোলন যদি শান্তিপূর্ন হয় এবং যদি সেগুলি ন্যায্য দাবির উপর গড়ে ওঠে, তাহলে সাধারন মানুষও এগিয়ে এসে সমর্থন জানায়, চাপ দিয়ে বাধ্য করে সরকারকে সরে যেতে। কিন্তু বাংলাদশে এখন যা চলছে, তাতে এইসব কিছুই না করে যা করে চলেছে জামাত ও তার ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবির এবং তাদের জোট সঙ্গীরা, তাকে দেশদ্রোহীতা ছাড়া আর কিছু বলা যায়না।

 
উনিশশো একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় থেকে বরাবরই জামাত দেশবিরোধী কাজকর্মে লিপ্ত থেকেছে। আর এখন তারা সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে যুদ্ধাপরাধ বিচার বন্ধ করার লক্ষ্যে নেমেছে এক বিরাট হিংসাত্মক লড়াইয়ে। তার কারন, এই বিচার পর্ব যদি সুষ্ঠূভাবে শেষ হয়, তবে জামাতের শীর্ষ নেতৃত্বের সবাই যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দন্ডিত হবে।
 
যা  সত্যিই দুঃখের, তা হল, দু’বারের প্রধানমন্ত্রী এবং বি এন পি নেত্রী খালেদা জিয়া চলতে থাকা এই হিংসার প্রতি তাঁর দলের সমর্থন জানাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, এইভাবে সরকারকে অকেজো করে দেওয়াই তাঁর উদ্দেশ্য।
 
এই বিকারহীন হিংসা, হত্যা, রক্তপাত এবং নৈরাজ্যে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন যাঁরা, তাঁরা এই দেশের জনগণ। হিংসায় তাঁদেরই প্রাণ যাচ্ছে বেশি। কিন্তু কোনও ধর্মই তো মানুষ খুনের কথা বলেনা! হত্যা তো
মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। আর কতদিন চলবে এই হত্যালীলা?
 
জামাত যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, এ কথা সুবিদিত। এমনকি এখনও তারা সেই একই অবস্থানে আছে। মার্চ মাসের ২৫ তারিখ যখন দেশের মানুষ মুক্তি যুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হয়েছিলেন, সেই সময় জামাত দেশজুড়ে হরতাল ডাকে এবং বোমা বিস্ফোরন ঘটায়। আর এই কাজে তাদের
সঙ্গী ছিল বি এন পি। কী হচ্ছে দেশে, কারা এর জন্য দায়ী ? মানুষের কাছে সময় এসেছে এই অবস্থার সমাধান খোঁজার।

সর্বশেষ শিরোনাম

বাংলাদেশে পশ্চিমের ‘গণতান্ত্রিক বিতর্কের’ শূন্যতা Tue, Jan 02 2024

হাসিনার ১৫ বছর: আঞ্চলিক সহযোগিতা ও প্রবৃদ্ধির একটি অনুকরণীয় গল্প Thu, Dec 07 2023

বাংলাদেশ: পাকিস্তানের ছায়া থেকে পরিপক্ক গণতান্ত্রিক দেশ Fri, Dec 01 2023

ধর্মনিরপেক্ষতা বনাম ধর্মতন্ত্র: বাংলাদেশ - এবং পশ্চিম - হুমকির মুখে Thu, Nov 16 2023

সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজের সূচক - বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের তুলনা Tue, Jan 17 2023

বাংলাদেশে বিএনপির রাজনৈতিক সংস্কৃতি - ব্যাপক দুর্নীতি ও উগ্র ইসলামবাদ Sat, Nov 19 2022

বিডেনের গণতন্ত্র সম্মেলনের বাইরে বাংলাদেশ Wed, Dec 08 2021

Manipulating institutions: The Chinese Way in Bangladesh Sat, Dec 04 2021

শিল্পদ্রব্যের গুনমাণ: কোথায় চীনের বিশ্বাসযোগ্যতা Tue, Sep 15 2020

চিন থেকে সাবধান হওয়ার সময় এখন Mon, Aug 31 2020