Finance
ব্রেক্সিটের পরও বাংলাদেশি পণ্য যুক্তরাজ্যে শুল্কের আওতায় পড়বে না
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১২ নভেম্বর ২০২০: যুক্তরাজ্য ব্রেক্সিটের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগ করার পরও বাংলাদেশসহ যেসব দেশ ইইউ’র অধীনে বাণিজ্য অগ্রধিকার জিএসপি সুবিধা পেয়ে আসছিলো যুক্তরাজ্যের জেনারালাইজড স্কিম অফ প্রেফারেন্স (জিএসপি)’র আওতায় সেসব দেশ একই সুবিধা পাবে।
যুক্তরাাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন অফিস জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশ ও মালাবিসহ বিশ্বের স্বল্পোন্নত ৪৭ দেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্য কোনো শুল্কের সম্মুখীন হবে না।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্রিটেন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্তরাজ্যের সাথে নির্বিঘেœ ব্যবসার অনুমতি দেবে।
যুক্তরাজ্যের সাথে বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তিকে নতুন চুক্তিতে রূপান্তর করেনি এমন বাণিজ্য সুবিধাপ্রাপ্ত দেশগুলো বাণিজ্য অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতাভুক্ত হবে।
যুক্তরাজ্যটি গত বছর তালিকভুক্ত দেশগুলো থেকে প্রায় ৮ বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের টেক্সটাইল এবং পোশাক পণ্য আমদানি করেছে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী লিজ ট্রসের বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাজ্য ইইউ ছেড়ে যাওয়ার পরও ব্রিটিশ আমদানিকারকরা বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর পোশাক ও শাকসব্জির মতো নিত্যপণ্যগুলোত শূন্য বা হ্রাসকৃত শুল্ক সুবিধা অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করছি যে, বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলো মুক্ত বাণিজ্যের আওতায় যেসব সুবিধা পেতো তারা সেসব সুযোগ পেতে থাকবে।’
এ স্কিমটি ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের ইইউ ছাড়ার পরও নির্বিঘেœ বাণিজ্য চালিয়ে যেতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি ব্রিটিশ গ্রাহকরাও সাশ্রয়ী মূল্যে তাদের পছন্দের কিছু পণ্য অবিচ্ছিন্নভাবে পাবে ।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, গ্লোবাল ব্রিটেন উন্নয়নশীল দেশগুলোর পছন্দের অংশীদার।
তিনি বলেন, ‘এই ঘোষণা প্রমাণ করে যে, অনেক উন্নয়শীল দেশ বাণিজ্যের মাধ্যমে বৃহত্তর সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে চায়- একথার স্বীকৃতি দিয়ে আমরা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উদার নীতি গ্রহণ করে থাকি।’