Finance
![দেশে ডলার সংকট কমেছে দেশে ডলার সংকট কমেছে](https://www.bangladeshlivenews.com/news_pic/2024/42623a5345ea5d78460b4ac2fa1d20fb.jpg)
দেশে ডলার সংকট কমেছে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৩১ মার্চ ২০২৪ : দেশে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে ডলার সংকট। এ কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান এলসি খুলতে পারেনি। লাগামহীন বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যায় ডলারের দর। এর মধ্যেই কারসাজিতে জড়িয়ে পড়ে অনেক ব্যাংক-মানি চেঞ্জার। ফলে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে বাজার। কারসাজিতে জড়িত ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারকে জরিমানাও করা হয়। এরপরও বাজার নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বরং খোলা বাজারে ডলারের দাম ওঠে ১২৭ টাকায়। এরপরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নানামুখী উদ্যোগ নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। বাজার স্বাভাবিক রাখতে রিজার্ভ থেকে ডলার ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে রিজার্ভেও পড়ে টান। তবে সংকট নিরসনে ডলার নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ব্যাংকগুলো। সবমিলিয়ে সরকারি-বেসরকারি নানান উদ্যোগে দেশে মার্কিন ডলারের সংকট কিছুটা কমে এসেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এলসি পেমেন্ট দিতে না পারায় একসময় প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স কেনায় মরিয়া হয়ে উঠেছিল ব্যাংক। ফলে প্রতি ডলারের দাম উঠেছিল ১২০ টাকায়। তবে এখন প্রবাসী আয়ের ডলার ১১৪ থেকে ১১৫ টাকা দামে পাওয়া যাচ্ছে। প্রবাসী আয়ের ডলারের দাম কমায় ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম ১১০ টাকায় নেমে এসেছে। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোতে যে তারল্য সংকট ছিল, সেটাও কমে এসেছে কিছুটা।
খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ডলার সংকট কমে আসার পেছনে কয়েকটি উদ্যোগ কাজে এসেছে। এর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ি আরোপের কারণে আমদানি কমে আসা। একইভাবে ডলারের দাম নিয়ে কড়াকড়ি অবস্থান থেকে সরে আসায় রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বেড়েছে। পাশাপাশি ডলারের বিপরীতে টাকা অদল-বদলের (সোয়াপ) সুবিধার কারণে সংকট কিছুটা কমে এসেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই দেশে ডলারের সংকট শুরু হয়। দুই দেশের এ যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানিসহ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ে। এতে আমদানি খরচ হঠাৎ বেড়ে যায়। রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতির মধ্যেই ২০২২ সালের জুনে ৮৩৭ কোটি ডলারের আমদানি দায় শোধ করতে হয় বাংলাদেশকে। এরপর ঋণপত্র (এলসি) খোলায় কড়াকড়ি আরোপ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এলসি খোলার বিপরীতে শতভাগ পর্যন্ত নগদ টাকা জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়।