Finance
এবার পেঁয়াজের মৌসুমে আমদানি বন্ধ করা হবে
মন্ত্রিসভার বিগত বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পিয়াজ আমদানী বন্ধের প্রস্তাব দেয়া হয়। জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন।
বুধবার (৪ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। এর আগে তিনি সফররত সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়ার অ্যাসিসট্যান্ট ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর) ক্রিস্টোফার উইলসন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির কারণে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় দেশটি। রফতানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার পর দেশের পেঁয়াজ বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। এতে বাংলাদেশের বাজারে সর্বোচ্চ ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি পেঁয়াজ।
পেঁয়াজ পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এ বছর ভালো পেঁয়াজ হবে। অনেক এরিয়াতে পেঁয়াজ করা হয়েছে। আমরা যে পেঁয়াজের জাত উদ্ভাবন করেছি সেটা মাঠ পর্যায়ে চাষাবাদ হলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে পেঁয়াজের সমস্যা থাকবে না। নতুন জাতের উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ না হলেও কাছাকাছি হবে। ১০-১১ টন হতো প্রতি হেক্টরে, সেটা হবে ১৮-১৯ টন।’ তবে, গত মঙ্গলবার ফরিদপুরে শিলাবৃষ্টিতে ওই এলাকার পেয়াজের ভালোই ক্ষতি হয়েছে।
ভর মৌসুমে পেঁয়াজ আমদামি বন্ধের দাবি জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কী বলেছিলেন-জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি বলেছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সবাই মিলে আলাপ-আলোচনা করে...খুবই সতর্ক থাকতে বলেছেন।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘যদি ভালো পেঁয়াজ উঠে পড়ে, আমরা অবশ্যই চাষিদের স্বার্থটা দেখব।’ চলতি মাসের শেষে ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ উঠানো শুরু হবে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।