Finance
আরও ১০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা চান গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা
ঢাকা, ১১ এপ্রিল ২০২১ : গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে ‘লকডাউন’ চলছে। ভয়াবহভাবে বেড়ে যাওয়া করোনার সংক্রমণ কমিয়ে আনতে লকডাউন আরও কঠোরভাবে পালন করার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু লকডাউন বাস্তবায়ন হওয়া নিয়ে আছে সংশয়।
আর সরকার এবার কী ধরণের লকডাউনে যেতে চাইছে, তা নিয়ে ব্যবসায়ী মহল ও অর্থনীতিবিদরা এখনও অন্ধকারে। সরকারের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত পরিষ্কারভাবে কিছু বলা হয়নি।
তবে লকডাউন যেমনই হোক, শ্রমিকদের নামে গত বছরের মতো এবারও ১০ হাজার কোটি টাকার নতুন প্রণোদনা চান গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা। তারা আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে শ্রমিকদের বেতন-ভাতার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা তহবিল নিয়ে অচিরেই সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। এছাড়াও প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে আগের নেওয়া ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, গতবারের মতো দীর্ঘ মেয়াদে গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হলে উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন প্রণোদনার দরকার হবে।
এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ’র সদ্য নির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, শ্রমিকদের বেতন বোনাসের জন্য নতুন প্রণোদনার দরকার হবে। সামনে ঈদ। বেতন-বোনাস একসঙ্গে দেওয়া গার্মেন্টস মালিকদের পক্ষে সম্ভব হবে না। ফলে পুরনো প্রণোদনার টাকা ফেরতের জন্য সময় বাড়িয়ে দিতে হবে। নতুন করে আরও দশ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা লাগবে।
তিনি বলেন, এই ১০ হাজার টাকার সবই আমরা শ্রমিকদের সরাসরি দিয়ে দেবো। আর যেভাবে কারখানা চলছে, এভাবে কারখানা চালিয়ে রাখতে পারলে ব্যাংকের টাকাও একদিন পরিশোধ করা যাবে। কিন্তু কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে মালিকরা পথে বসে যাবে।
বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, সামনে যেহেতু ঈদ বা রোজা রয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে আমাদের অনেকেরই দেনা রয়েছে। সে জন্য আমাদেরকে নতুন করে শ্রমিকদের বেতন-বোনাসের জন্য অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকার নতুন ঋণ সুবিধা দেওয়ার কথা আমরা বলছি।
গত বছরের চেয়ে এবার প্রণোদনা বেশি লাগবে জানিয়ে তিনি বলেন, গতবছর অনেকেই ঋণ পায়নি।