Finance
রাশিয়াসহ ৫ দেশের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাব বাংলাদেশের
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১১ জানুয়ারি ২০২২: ইউরেশীয় অর্থনৈতিক ইউনিয়নের (ইইইউ) কাছে মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) জন্য আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রস্তাব গৃহীত হলে রাশিয়াসহ জোটভুক্ত পাঁচ দেশে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইইইউ’র অর্থনৈতিক ও নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষ ইউরেশীয় অর্থনৈতিক কমিশনের (ইইসি) কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরে বাংলাদেশ গত সপ্তাহে এ প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানা গেছে।
চুক্তির জন্য বাংলাদেশকে এবার জোটের সদস্যদের অর্থাৎ রাশিয়া, বেলারুশ, কাজাখস্তান, আর্মেনিয়া ও কিরগিজস্তানের সম্মতি পেতে হবে। এ পাঁচটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১৫০ কোটি ডলারের বেশি।
মুক্তবাণিজ্য চুক্তি হলে এর পরিমাণ আরও কয়েকগুণ বাড়বে বলে আশা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এগিয়ে নিতে ২০১৯ সালের মে মাসে বাংলাদেশ ও ইইইউ’র মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়। পরে ১৯টি খাত চিহ্নিত করে সেগুলোতে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়। নভেম্বরে ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় মস্কোয়। এতে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এফটিএ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব নূর মো. মাহবুবুল হক এবং ইইসি’র নেতৃত্বে ছিলেন এর বোর্ড সদস্য সের্গেই গ্লাজিয়েভ। বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষ ইইইউর সঙ্গে মুক্ত বণিজ্য চুক্তির আগ্রহ দেখালে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠানোর পরামর্শ দেয় ইইসি।
বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রুশ সংবাদমাধ্যম রাশিয়া-ব্রিফিংকে বলেছেন, 'আমাদের প্রধান লক্ষ্য রাশিয়ার বাজার। কিন্তু তারা এককভাবে কোনো চুক্তি করতে না চাওয়ায় আমাদের ইইইউ’র মাধ্যমে ওই সুবিধা আদায় করতে হচ্ছে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে এবং দেখা গেছে, ইউরেশিয়ার সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি ইতিবাচক ফল দেবে।'
ইউরেশিয়ার দেশগুলোতে, বিশেষ করে রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত মাছ, ওষুধ, আলু ও সবজি রপ্তানির ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে রাশিয়ায় তৈরি পোশাক, পাট, হিমায়িত চিংড়ি, আলুসহ নানা ধরনের পণ্য রপ্তানি হলেও তার পরিমাণ খুব বেশি নয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ইইইউ সদস্য দেশগুলোতে ৩৯ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সময়ে তাদের কাছ থেকে আমদানি ছিল অন্তত ১১০ কোটি ডলারের।