Finance
৫৩ জন করোনায় মারা গেলেও চট্টগ্রাম বন্দরে বন্ধ নেই কাজ
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা,১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২: করোনায় চট্টগ্রাম বন্দরের ৫৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী মারা গেছেন। তা সত্ত্বেও বন্দর এক মুহূর্তের জন্যও কাজ বন্ধ হয়নি। এভাবে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে এই বন্দর বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
২০২১ সালে এই বন্দর রেকর্ড পরিমান ৩.২১ মিলিয়ন টি.ই.ইউ কন্টেইনার হ্যান্ডেল করেছে। বন্দরটির চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান এ কথা জানান।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৪২তম বৈঠকে কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা যায়। এর আগে কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের অনেক উন্নয়ন হলেও তা বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সমন্বিতভাবে করা হয়নি। ফলে বিদেশি বন্দরের মতো চট্টগ্রাম বন্দর অতটা আকর্ষণীয় নয়। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরকে পরিকল্পিতভাবে আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক এবং দর্শণীয় বন্দরে উন্নীত করার পরিকল্পনা প্রণয়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এর জবাবে করোনার মধ্যেও বন্দরের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শ্রমিকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়ে এম শাহজাহান আরও বলেন, ১৩৪ বছরের পুরনো এই চট্টগ্রাম বন্দর। চাহিদার প্রেক্ষিতে এবং প্রয়োজনীয়তার নিরিখে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা কালক্রমে বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে। ফলে বন্দরটিকে পরিকল্পনামাফিক গুছিয়ে দর্শনীয়ভাবে গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি।
যেহেতু এটি একটি ব্রাউনফিল্ড বন্দর তাই এটিকে পরিকল্পনামাফিক গুছানো দুরূহ ব্যাপার। তারপরও বন্দরটিকে যতটুকু সম্ভব ‘রিমডেলিং’ এর মাধ্যমে সুন্দরভাবে গুছিয়ে আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক ও দর্শনীয় বন্দরে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের গ্রিন ফিল্ড প্রজেক্ট বে-টার্মিনাল এলাকায় পরিকল্পিতভাবে আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক ও আকর্ষণীয় বন্দর সুবিধাদি নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি।