Finance
জট নিরসনে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার স্থানান্তর হচ্ছে আইসিডিতে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৬ জুলাই ২০২১: সরকারঘোষিত দেশব্যাপী চলমান লকডাউনে (বিধিনিষেধ) বন্ধ রয়েছে দেশের বেশিরভাগ শিল্পকারখানা। এতে করে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানিকৃত কনটেইনার খালাস প্রক্রিয়া আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। ফলে বন্দরে বাড়তে থাকে কনটেইনারের সংখ্যা। সম্ভাব্য জট নিরসনে নানামুখী তৎপরতা শুরু করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনকে দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য চাপ দেয়ার পাশাপাশি বিকল্প ব্যবস্থার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
অবশেষে রোববার (২৫ জুলাই) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একটি অফিস আদেশে চট্টগ্রাম বন্দরে জমে থাকা কনটেইনার অভ্যন্তরীণ ১৯টি ডিপোতে (আইসিডি) স্থানান্তরের অনুমতি প্রদান করে। আদেশটি আগামী ৩১ আগস্টের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে বলে জানানো হয়।
রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস নীতি) মেহরাজ-উল-আলম সম্রাট স্বাক্ষরিত ওই অফিস আদেশে বলা হয়, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরে সৃষ্ট কনটেইনার জট নিরসনের লক্ষ্যে নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের পত্রের সুপারিশের আলোকে চট্টগ্রাম বন্দরে আগত সব ধরনের পণ্যচালান সংশ্লিষ্ট কনটেইনার দুটি শর্তসাপেক্ষে চট্টগ্রামে অবস্থিত ১৯টি অফডকে (প্রাইভেট আইসিডি) সংরক্ষণ ও আনস্টাকিং করার এবং উক্ত অফডকসমূহ থেকে খালাস প্রদানের অনুমতি প্রদান করা হলো।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, লকডাউনে জাহাজ থেকে আমদানিকৃত পণ্য খালাস প্রক্রিয়া ২৪ ঘণ্টাই চালু আছে। বিপরীতে আমদানিকারকেরা স্বাভাবিকের চার ভাগের একভাগের মতো কনটেইনার খালাস করছেন। বন্দর থেকে ২২ জুলাই ঈদের দিন ১২৮ টিইইউস (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনার), ২৩ জুলাই ৫৮২ টিইইউস, ২৪ জুলাই এক হাজার ১০ টিইইউস এবং ২৫ জুলাই সর্বশেষ পাওয়া খবরে এক হাজার ৯০০ টিইইউস কনটেইনার খালাস হয়েছে। অর্থাৎ চার দিনে মিলে বন্দর থেকে কনটেইনার খালাস হয়েছে তিন হাজার ৬২০ টিইইউস কনটেইনার। অথচ স্বাভাবিক সময়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে একদিনে গড়ে সাড়ে তিন হাজার টিইইউস কনটেইনার খালাস করে থাকেন আমদানিকারকেরা।
ফলে বন্দরের ভেতরে কনটেইনার জমতে থাকে। ২৫ জুলাই পর্যন্ত বন্দরে কনটেইনার জমা পড়েছে ৪৩ হাজার ৫৭৪ টিইইউস। যদিও বন্দরের ধারণক্ষমতা ৪৯ হাজার টিইইউস। তবে বন্দরের অপারেশনাল কাজে ৩০ শতাংশ জায়গা খালি রাখতে হয়।
বন্দরের কনটেইনার খালাসের ধীরগতি ও সম্ভাব্য জট নিরসনে নানামুখী তৎপরতা শুরু করে কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে একটি চিঠি দেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। একই দিনে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফ্রেট ফরোয়ার্ডস অ্যাসোসিয়েশন, বিকেএমইএ ও চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সে পাঠানো হয়।