Finance
বাংলাদেশ থেকে ভারতের ত্রিপুরায় বাড়ছে রপ্তানি
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২ মার্চ ২০২২: বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আমদানি-রপ্তানি বাড়ছে। বিশেষ করে গত কয়েক বছরে আমদানি-রপ্তানির অংক আগের বছরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
পূর্ব সীমান্তের রাজ্যটিতে বাংলাদেশ থেকেই রপ্তানি হচ্ছে বেশি। করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবকালে সেখানে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার আমদানি- রপ্তানির পরিমাণ ছিল যেখানে ৩৯০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩৩ কোটি ২৬ লাখ টাকায়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় যেখানে ৩৮৪ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে এই অংক বেড়ে হয়েছে ৭১৬ কোটি টাকা।
দুই দেশের স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের মাছ, শুঁটকি, সিমেন্ট, কয়লা, অ্যালুমিনিয়াম, প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র, কাঠ ও ধাতব আসবাবপত্র, ব্যাটারি, পানীয়, ইট ভাঙার মেশিনসহ পণ্যসামগ্রী ত্রিপুরায় রপ্তানি হচ্ছে। আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বেশি হয়ে থাকে।
অপরদিকে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে আসছে কাগজ, আদা, গম, ভুট্টা, আনারস, কাঁচা ক্ষীর, বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পণ্য, ফুলঝাড়ু, সয়াবিনের বীজ, কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) চালিত মোটরগাড়ির খুচরা যন্ত্রাংশ।
অল ত্রিপুরা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুজিত রায় জানান, বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। তবে সেভাবে বাংলাদেশে রপ্তানি বাড়ছে না। বাংলাদেশ-ত্রিপুরার মধ্যে মৈত্রী সম্পর্ক ও বাণিজ্য দ্বিগুণ হারে বাড়িয়ে তোলার ব্যাপারে আগ্রহী সরকার।
এই ব্যবসায়ী নেতা জানান, ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি করার মতো বেশকিছু পণ্য রয়েছে। অনুমোদন না থাকায় বর্তমানে সেগুলো পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। ত্রিপুরার সাব্রুমের সঙ্গে খাগড়াছড়ির রামগড়ের সংযোগ স্থাপনকারী ফেনী নদীর ওপর দিয়ে নির্মিত মৈত্রী সেতুর সূচনায় আগামীতে সব ধরনের অনুমোদন মিলবে।
ত্রিপুরার হোল সেল গ্রোসারি মার্চেন্টের সম্পাদক তমাল পাল জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ চলছে।বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বেশি হয় স্থলপথে।
ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব জানান, দুই বছর ধরে বাণিজ্য কিছুটা কম হলেও পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আগের তুলনায় বাংলাদেশের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ক্রমশই বাড়ছে।