Finance
আমদানি ব্যয় বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৬ মে ২০২২: দেশে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স থেকে বৈদেশিক মুদ্রার আয় সেই তুলনায় কমছে। ফলে কয়েক মাসের ব্যবধানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে প্রায় সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গত বছরের আগস্টে রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়। আমদানি ব্যয় বাড়ায় গত ৯ মে রিজার্ভ ছিল ৪৪ দশমিক ১১ বিলিয়ান ডলার। এ রিজার্ভ থেকে ১০ মে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) প্রায় ২২৪ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়। এরপর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৪১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে যে রিজার্ভ আছে, তা দিয়ে ছয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। গত বছরের আগস্টে আট মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ (৪৮ বিলিয়ন ডলার) ছিল বাংলাদেশের।
এদিকে, গাড়িসহ বিলাসী পণ্যের আমদানিতে ৭৫ শতাংশ এলসি মার্জিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এসময়ে যাতে আমদানি ব্যয় পরিশোধে কেউ ব্যর্থ না হয়, সেজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে প্রচুর ডলার বিক্রি করছে। চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত ডলার বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০২ কোটি। এর বিপরীতে বাজার থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এসেছে ৪৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক অর্থবছর এত পরিমাণ ডলার এর আগে বিক্রি হয়নি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৩ সালের জুন শেষে রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৮ সালে তা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়। ওই সময়ে রিজার্ভ ছিল ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ৪৮ দশমিক শূন্য ছয় বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে।
তবে গত কয়েক মাসে ধরে ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ কমছে। গত ৮ মে রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ৪৩ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলারে। ১০ মে ২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারের আকু পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ৪২ বিলিয়ন ডলারের নিচে চলে আসে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমার মূল কারণ হিসেবে আমদানি ব্যয়ে ব্যাপক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে রেমিট্যান্স কমে যাওয়াকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। আগামীতে বৈদেশিক মুদ্রার ঋণ ব্যাপকভাবে পরিশোধ শুরু হলে রিজার্ভে চাপ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা।