Finance
৬ মাসে বিনিয়োগ বাড়লো এক লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০: ছয় মাস আগে হতাশার কেন্দ্রবিন্দু ছিল দেশের শেয়ারবাজার। বর্তমানে সেই বাজার টেকসই বাজারে রূপ নিচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে টেকসই হবে পুঁজিবাজার।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) তিনি একটি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে এই ঘোষণা দেন। তিনি উল্লেখ করেন, বিএসইসি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের নিরাপত্তা দেবে।
এদিকে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। গত সপ্তাহে সবকটি মূল্য সূচক বৃদ্ধি পাওয়ায় টানা চার সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী থাকলো শেয়ারবাজার। চার সপ্তাহের এই টানা উত্থানের ফলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকার ওপরে। এর মধ্যে গত সপ্তাহেই বেড়েছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা।
এদিকে শেয়ারবাজারের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ৬ মাসে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ১৯ কোটি টাকা।
গত জুলাই মাসের শুরুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ১১ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ২৫ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ১৬ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৮ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে টানা চার সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো ৩৫ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা। তার আগের দুই সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ১১ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকা এবং ৮ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক ড. জায়েদ বখত বলেন, ‘যখন অন্য কোথাও বিনিয়োগের জায়গা না থাকে, তখন শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়ে।’ এখন এমন একটি সময় যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নিয়ন্ত্রক সংস্থার বর্তমান কর্মকাণ্ডে অনেকেই শেয়ারবাজারের প্রতি আশাবাদী হচ্ছেন।’
ড. জায়েদ বখতের মতো আশাবাদী ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী। তিনি বলেন, ‘নতুন নতুন আইপিও আসছে, যার সুফল এখন পাওয়া যাচ্ছে।’ বাজার পরিস্থিতি ভালো হওয়ার পেছনে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নেওয়া বেশকিছু উদ্যোগ বড় ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন তিনি।