Finance
বাংলাদেশে এলএনজি রফতানি করতে চায় মালয়েশিয়া
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১: বাংলাদেশে এলএনজি রফতানি করতে আগ্রহী মালয়েশিয়া। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম. এম. ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের এ তথ্য ব্রিফ করেন।
সাক্ষাতে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশে এলএনজি রফতানি করতে আগ্রহী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বাংলাদেশে এলএনজির চাহিদার কথা উল্লেখ করেন।
এছাড়াও বাংলাদেশে শিক্ষা ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে মালয়েশিয়ার আগ্রহের কথা জানান হাইকমিশনার। দুই দেশের মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মালয়েশিয়া সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানান তিনি। এ সময় রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিববর্ষে প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য ঘর করে দিতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে নরওয়েকে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ ও আঞ্চলিক বাজার সুবিধাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে প্রবেশ করার সুযোগ রয়েছে।
রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে এসব কথা বলেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে তথ্য-প্রযুক্তি ও পরিবেশবান্ধব পাটসহ বিভিন্ন সেক্টরে বড় ধরনের বিনিয়োগ নিয়ে আসতে নরওয়ের বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনে নরওয়ের সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি নরওয়ে রাষ্ট্রদূতকে জানান, দেশব্যাপী কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম চলছে।
রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর প্রথম দিকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী দেশগুলোর মধ্যে নরওয়ে অন্যতম। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে নরওয়ের সহযোগিতামূলক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, নরওয়ে বাংলাদেশের অন্যতম বড় উন্নয়ন অংশীদার।