Finance
বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের মতো হওয়ার আশঙ্কা নেই: আইএমএফ
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১০ নভেম্বর ২০২২: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের মতো হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দক্ষিণ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রাহুল আনন্দ।
তিনি বলেন, "গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ কখনো ঋণখেলাপিও হয়নি।"
বুধবার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রাহুল আনন্দ বলেন, "মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি জোরালোভাবে পুনরুদ্ধার হয়েছে। তবে তা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। এতে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও দ্রুত কমে যাচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে, প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়েছে। যদিও এসব প্রতিকূলতা বাংলাদেশ ভালোভাবে মোকাবিলা করেছে। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী অবকাঠামো সংকট রয়েই গেছে।"
আইএমএফের এ কর্মকর্তা বলেন, "জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতিও হুমকিতে। ২০৩১ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছাতে হলে বাংলাদেশকে অতীতের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে প্রবৃদ্ধির চাকা আরও গতিশীল করতে হবে। এজন্য কাঠামোগত সমস্যাগুলোর দিতে নজর দিতে হবে। সেইসঙ্গে বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ, উৎপাদন সুসংহত করা এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা গড়ে তুলতে হবে।"
এর আগে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৈঠকের পর সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, "কঠিন কোনো শর্ত ছাড়াই বাংলাদেশকে ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে আইএমএফ।"
অর্থমন্ত্রী বলেন, "আইএমএফের ঋণ আমরা পেতে যাচ্ছি। ঋণের পরিমাণ ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। সাত কিস্তিতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত ঋণের অর্থ আসবে। প্রথম কিস্তি আসবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ড ১০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। তিনমাসের মধ্যে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবে। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে বোর্ড।"