Finance
নতুন জাতের পেঁয়াজের সরবরাহে কেজিতে ৪০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম
ঢাকা, ডিসেম্বর ১২: বাজার সূত্রে জানা গেছে, নতুন উৎপাদিত মুরিকাতা ও গ্রীষ্মকালীন জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসায় সোমবার পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ টাকা কমেছে।
সোমবার প্রতি কেজি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১০০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ১৮০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এর আগের দিন মুরিকাটা পেঁয়াজ ১৪০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ২১০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ ৭১ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে।
যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১ লাখ ৫৫ হাজার টন বেশি।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক সোমবার ইউএনবিকে বলেন, বাজারে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে, তাই অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, আগের এলসি অনুযায়ী ভারত থেকে প্রায় ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসছে। এছাড়া বাজারে নতুন করে কাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। তাই এক সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসবে বলে জানান মন্ত্রী।
তবে কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা বশির উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, সোমবার বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে এবং আগের দুই দিনের তুলনায় দামও কমেছে।
তিনি বলেন, কৃষকরা এখন ভাল দাম পাচ্ছেন বলে প্রতিদিন নতুন আগমনের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে।
বশির আরও বলেন, অবৈধভাবে পেঁয়াজ মজুদ করার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান বাজারে পুরাতন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে সহায়তা করেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, প্রতিবছর প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে মুরিকাতা পেঁয়াজের চাষ হয়, যার ফলন হয় প্রায় ৮ লাখ টন।
এ বছর প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ রোপণ করা হয়েছে, যার ফলন প্রায় ৫০,০০০ টন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই মুরিকাতা ও গ্রীষ্মকালীন জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে এবং এটি ৩ থেকে সাড়ে ৩ মাস পর্যন্ত পাওয়া যাবে।
এরপর প্রধান জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করবে এবং এ বছর উৎপাদন প্রায় ২৬ লাখ থেকে ২৮ লাখ টন হতে পারে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, এ বছর বিস্তীর্ণ জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের পেঁয়াজের চাষ হয়েছে, যার ফলন বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।