Finance
বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের পর ইইউ’র কাছে জিএসপি সুবিধা চান প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৬ অক্টোবর ২০২৩ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করতে বাংলাদেশকে জিএসপি+ সুবিধা দেয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বুধবার ব্রাসেলসে ইইউ’র সদর দফতরে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি আশা করি যে- ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আমাদের উন্নয়নে সহায়তার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপি+ সুবিধা দেবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইউরোপীয় কমিশনের চেয়ারম্যান উরসুলা ভন ডার লেয়েন ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক (ইআইবি)’র মধ্যে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরো অর্থায়ন চুক্তিসহ বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন।
শেখ হাসিনা বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ যুদ্ধ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে চায়। তিনি বাংলাদেশে সাময়িকভাবে আশ্রিত ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য ইইউকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনই এই সংকটের একমাত্র সমাধান। তিনি আরো বলেন, ‘আমি দ্রুত এই সংকটের একটি টেকসই সমাধানের সঙ্গে যুক্ত থাকতে ইইউ’র প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ বছর বাংলাদেশ-ইইউ’র অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে। আমরা খুশি যে- ইইউ এখন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রথম মেয়াদ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত এই ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিকতার কথা স্মরণ করে বলেন, অস্ত্র ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিটি স্কীমই বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শ্রমিকদের অধিকারের পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তা ও নিয়মিত অভিপ্রয়াণ সুরক্ষায় আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি।’
তাদের মধ্যে বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের ওপর খোলামেলা মত বিনিময় হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন- এ অভিন্ন মূল্যবোধের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ইসি প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর, এখানে বেলজিয়ামে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ, ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) ও ইউরোপীয় কমিশন (ইসি)’র মধ্যে তিনটি ঋণ ও অনুদান চুক্তি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ও ইআইবি প্রেসিডেন্ট ওয়ার্নার হোয়ার চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।