Finance
ভারতের ঝাড়খন্ড থেকে আদানির বাকি বিদ্যুৎও আসতে শুরু করেছে
ঢাকা, ২৮ জুন ২০২৩ : ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটটিও অবশেষে সফলভাবে 'বাণিজ্যিক কার্যক্রমে' প্রবেশ করেছে। ফলে ওই ইউনিট থেকে বাংলাদেশে ৭৪৮ মেগাওয়াট নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে, যা দেশের বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলায় বড় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে, গত এপ্রিল মাসে গোড্ডায় আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেডের ২×৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম ইউনিট চালু হয়। তখন থেকেই গোড্ডায় উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ইউনিট চালু না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ এই প্রকল্পের পুরো সুফল নিতে পারছিল না। এতদিনে, দ্বিতীয় ইউনিটটি চালু হওয়ায় ওই তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সেই অসম্পূর্ণতা দূর হলো।
পাওয়ার প্ল্যান্টটের দ্বিতীয় ইউনিট বাণিজ্যিক অপারেশনে যাওয়ার কথা আদানি গোষ্ঠী কোনও প্রেস বিবৃতি বা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা করেনি। এই তথ্য সামনে এসেছে এদিন ভারতের স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানির স্টক ফাইলিংয়ের মাধ্যমে।
ওই ফাইলিংয়ে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে: ‘ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলায় আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেডের (‘এপিজেএল’, যেটি আদানি পাওয়ার লিমিটেডের পূর্ণ মালিকানাধীন একটি সাবসিডিয়ারি) যে ২×৮০০ মেগাওয়াট আলট্রা-সুপারক্রিটিকাল বিদ্যুৎ প্রকল্পটি রয়েছে, তার ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দ্বিতীয় ইউনিট বাংলাদেশ সময় ২৫ জুন রাতে বাণিজ্যিক অপারেশনস অর্জন করেছে।’
এর আগে চুক্তির শর্ত অনুসারে ওই ইউনিটটি রিলায়েবিলিটি রান টেস্টগুলোতেও সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে।
এই স্টক এফাইলিংয়ের পরই মুম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জে আদানি পাওয়ারের শেয়ার দর একলাফে প্রায় ৩ শতাংশ বেড়ে যায়। বেলা দুইটার দিকে আদানি পাওয়ারের প্রতিটি শেয়ারের দাম পৌঁছে যায় প্রায় ২৫০ রুপিতে, দিনশেষে তা ২৫১ রুপি ছাড়িয়ে যায় বলে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক স্তরে জ্বালানি কয়লার বিপুল সংকটের মধ্যেও আদানি গোষ্ঠী যেভাবে গোড্ডার প্রথম ইউনিট চালু করার দুই-আড়াই মাসের মধ্যেই দ্বিতীয় ইউনিটও চালু করতে পেরেছে, সম্ভবত সে কারণেই শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারীরা তাদের ওপর আস্থা রেখেছেন।
গোড্ডায় আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ বারবার বিলম্বিত হলেও গত বছরের সেপ্টেম্বরে আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান গৌতম আদানি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে কথা দিয়েছিলেন, বিজয় দিবসেই (১৬ ডিসেম্বর) ওই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসা শুরু হবে।
সেই ‘ডেডলাইন’ মিস হলেও তার চার মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ গোড্ডার বিদ্যুৎ পেতে শুরু করে। আর তারও দুই মাসের মধ্যেই ওই কেন্দ্রের বাকি অর্ধেক বিদ্যুৎও এখন বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছে।