Finance
পণ্য ডেলিভারি না হলে ক্রেতারা দেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৫ জুলাই ২০২১: ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশে চলমান বিধিনিষেধ আটদিনের জন্য শিথিল করা হয়েছে। শিথিলতা শেষে আরও ১৪ দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। আগামী ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত চলা বিধিনিষেধের সময় শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে বন্ধ থাকবে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসও।
রফতানিমুখী শিল্পকে বিধিনিষেধের বাইরে রাখায় ভালো। তারা কারখানায় কাজ করলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। শ্রমিকরা একসঙ্গে বাইরে চলে গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে। বিধিনিষেধে শিল্পকারখানা বন্ধ হলে এসব খাতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের রফতানিমুখী শিল্প; বিশেষ করে পোশাক খাত।
দেশে এমন অবস্থা বিরাজ করলে বিদেশি ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নেবেন, তারা লকডাউন নেই এমন দেশে চলে যাবেন। অবস্থা বিবেচনায় আগামী ১৪ দিনের বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রাখার পরামর্শ নিটওয়ার মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ)।
সংগঠনটির সহ-সভাপতি এবং ফতুল্লা অ্যাপারেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফজলে এহসান শামীম বলেন, '২৩ জুলাই থেকে ১৪ দিন বন্ধ হলে কারখানা মালিকরা অর্থ সংকটে পড়বেন। কারণ যেখানে উৎপাদন হবে না, সেখানে কারখানায় বায়ারদের মাল (পণ্য) কোথা থেকে দেবে কারখানা, টাকা দেবে কে? এতে বায়াররা আমাদের দেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।'
শামীম বলেন, ‘প্রায় দেড় বছর ধরে আমরা বিভিন্ন সমস্যায় আছি। বিশেষ করে এসময়ে অর্ডার বাতিলসহ এ খাতকে অনেক সংকটে পড়তে হয়েছে। এখন সংকট কাটিয়ে কিছুটা ভালো অবস্থানে আসছে, বিদেশি ক্রেতার কাছ থেকে অর্ডার আসছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে প্রতিটি সেক্টরকে একে একে খুলে দেয়ার জন্য। প্রথমে রফতানিমুখী বা শিল্পখাত, পরে ব্যাংক-বীমা বা অন্য প্রতিষ্ঠান।'
বিকেএমইএ’র এ সহ-সভাপতি বলেন, ‘এখনো অনেক দেশ আছে, যেখানে লকডাউনও আছে আবার শিল্প কারখানায় উৎপাদনও আছে। এক্ষেত্রে আমাদের দেশেও এমনটা হয়ে আসছিল।’
শামীম আরও বলেন, 'এখন ক্রয়াদেশ পাচ্ছি, অর্ডার জমে আছে। শিপমেন্ট প্রসেস হচ্ছে, ডেলিভারির সময় এসে যাচ্ছে। এ অবস্থায় কারখানা বন্ধ হলে সব ভেস্তে যাবে।'