Finance
বাংলাদেশকে ঋণ নিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য খরচ করতে বলছে বিশ্বব্যাংক
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৭ অক্টোবর ২০২০: মিয়ানমার থেকে হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। ফলে বিদ্যমান অবকাঠামো, অপ্রতুল সামাজিক সেবা প্রদান ব্যবস্থা, সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যবিধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অগ্নিদুর্ঘটনাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা অতিমাত্রায় ঝুঁকিতে পড়েছে।
এ কারণে বিশ্বব্যাংক ও কেএফডব্লিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অনুদানের টাকায় ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ‘জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় মাল্টি-সেক্টর’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সংশোধনীতে প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানো হয়েছে।
মূল প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১ হাজার ৫৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। তার মধ্যে সরকারের অর্থ ছিল ৯ কোটি ৫৬ লাখ এবং বিশ্বব্যাংক ও কেএফডব্লিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অনুদান ছিল ১ হাজার ৪৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
আজকের সংশোধনীতে ৯১৯ কোটি ২ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ফলে এখন প্রকল্পের মোট অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৮৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। তার মধ্যে সরকার দেবে ২০ কোটি ৩৬ লাখ এবং বিশ্বব্যাংক ও কেএফডব্লিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অনুদান ১ হাজার ৯৬৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের নভেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। সংশোধন করে এর মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে রোহিঙ্গাদের জন্য এ প্রকল্পে অর্থ বিশ্বব্যাংক অনুদান হিসেবে দিতে চায় না।
ঋণ নিয়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের উন্নয়নে বাংলাদেশকে অর্থ খরচ করতে বলছে বিশ্বব্যাংক।
একনেক সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা টেবিলে আমি কথা বলেছি। তারা আমাদের অনুদান দিতে চায়নি। তারা বলেছে, বাংলাদেশ আর কোনোভাবেই অনুদান পাবে না। যেহেতু আমাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তারা ঋণ দেবে আমাদের। তারপর আমরা বলেছি, তাহলে আপনাদের সাথে আমাদের এটা শেষ সভা, আর কোনো সভা করবো না। যদি অনুদান নিয়ে আসতে পারেন তাহলে আমরা এটা গ্রহণ করবো।