Entertainment
অবশেষে শাকিব-অপুর সংসার ভাঙ্গলো
আইন অনুযায়ী আজ থেকে তারা আর স্বামী-স্ত্রী নন। তাদের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটেছে। সালিশ নিষ্পত্তির শর্ত অনুযায়ী তেমনটাই জানা গেল। বনিবনা না হওয়ায় বিয়ের ১০ বছরের মধ্যেই বিচ্ছেদ ঘটলো এই ঢালিউড জুটির।
গত বছরের ২২ নভেম্বর অপুকে বিবাহ বিচ্ছেদের চিঠি পাঠান শাকিব। তখন জানা যায়, তিন মাস পর কার্যকর হবে এই বিচ্ছেদ।
সেই হিসাবে ২২ ফেব্রুয়ারি শাকিবের বিবাহ বিচ্ছেদের চিঠি পাঠানোর তিন মাস পূর্ণ হয়। কিন্তু উত্তর সিটি করপোরেশন অঞ্চল ৩-এর নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন পরবর্তী সময়ে আরও একটি দিন তাদের সালিশ নির্ধারণ করেন।
১২ মার্চে আয়োজিত এই নতুন তারিখেও দুই পক্ষের কেউই উপস্থিত না হওয়ায় তালাকটি কার্যকর হলো। মুসলিম আইনে বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠানোর ৯০ দিনের মধ্যে কোনও মীমাংসা না হলে বিচ্ছেদ কার্যকর বলে গন্য হবে।
সোমবার দুপুরে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের তালাক বিষয়ে তৃতীয় ও শেষ শুনানি ছিল আজ। আপস-মীমাংসার জন্য তাদের আজ ডাকা হয়েছিল।
এর আগে গত ১২ জানুয়ারি এবং ১২ ফেব্রুয়ারি তারিখেও তাদের ডাকা হয়। প্রথম দিন অপু বিশ্বাস উপস্থিত হলেও অন্য দুটি তারিখে তিনিও আসেননি। অন্যদিকে কোনও তারিখেই উপস্থিত হননি শাকিব খান।
তাই বিধিবদ্ধ সময়সীমা ৯০ দিন উত্তীর্ণ হওয়ায় সালিশ মামলার আজ নিষ্পত্তি হয়েছে।
তাদের মীমাংসা সম্ভব নয় বলে আমরা সিদ্ধান্তে এসেছি। এভাবে আমরা একটা আদেশ লিখেছি।’
শাকিব-অপুর বিয়ে হয় ২০০৮ সালে। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় তাদের পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। গত বছর এপ্রিলে সন্তান কোলে টেলিভিশন লাইভে এসে সেই খবর প্রকাশ করলে ঘটনা ভিন্ন দিকে মোড় নেয়।
জানা যায়, তাদের একমাত্র ছেলে আব্রাম খান জয়ের জন্য খরচ বাবদ প্রতিমাসে অপুকে এক লাখ টাকা দিচ্ছেন শাকিব। তালাক কার্যকর হওয়ার পর অপু বিশ্বাসকে বিয়ের দেনমোহর বাবদ সাত লাখ টাকা পরিশোধ করবেন এ চিত্রনায়ক।