Entertainment
Movie on Sheikh Hasina releases
শুক্রবার সকাল ১১টায় ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সে প্রামাণ্যচিত্রটির বিশেষ প্রদর্শনীতে অভিনেত্রী শমী কায়সার, চিত্রনায়ক শাকিব খান, নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীদের সঙ্গে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনিও ছিলেন দর্শক সারিতে।
প্রদর্শনী শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাকে নতুনভাবে খুঁজে পাওয়ার কথা জানান আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান নূর। এটিকে শুধু প্রামাণ্যচিত্রের গ-িতে আটকে রাখতে নারাজ তিনি। আশি ও নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় এ অভিনেতা বলেন, ‘প্রামাণ্যচিত্রের গ-ি পেরিয়ে এটি জীবনের গল্প বলেছে, সংগ্রামের গল্প বলেছে। দুঃখ-কষ্ট সহ্য করে মাথা তুলে দাঁড়ানোর সাহসী গল্প বলা হয়েছে। ছবিটা শুধু দুইজন মানুষের গল্প নয়, এটা আগামী প্রজন্মের জন্য নিরন্তর প্রেরণার একটা উৎস থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
প্রামাণ্যচিত্রে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা, হত্যা পরবর্তী বাংলাদেশের সংকটকাল ও নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসার কাহিনী তুলে আনা হয়েছে বিশদভাবে। আসাদুজ্জামান নূরের মতে, বাঙালি জাতি যখনই কোনো সংকটে পড়বে তখনই শক্তি যোগাবে এই ছবি। কোনো রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ছবিটিকে দেখি না। বাংলাদেশের একজন মানুষ হিসেবে এটাকে অসাধারণ ছবি বলব।
রাজনৈতিক আদর্শের বাইরে শেখ হাসিনার শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত টুঙ্গিপাড়া থেকে ধানম-ি ৩২ নম্বরের বাড়িতে কাটানো দিনলিপিও উঠে এসেছে প্রামাণ্যচিত্রে। এতে স্মৃতিচারণ করেছেন দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। প্রামাণ্যচিত্রে শেখ হাসিনা বলেন, ছোট বেলায় তিনি কিছুটা ‘অগোছালো প্রকৃতির’ ছিলেন। নিজের কক্ষে নিবিষ্ট থেকে গান শুনতে আর বই পড়তেই ভালো লাগত তার। এর বিপরীতে ছোট বোন শেখ রেহানা মা ফজিলাতুন নেসা মুজিবের মতো সুশৃঙ্খল ও নিয়মানুবর্তী ছিলেন বলে জানান তিনি। এ সময় শেখ রেহানা বলেন, ‘আপার রুমের নাম ছিল আলসেখানা। নিজের রুমে নিজের মতো থাকতেন।’
সেই আলসেখানার শেখ হাসিনাই বাবা-মাসহ পরিবারের সবাইকে হারানোর পর রাজনীতিতে এসে পৌঁছেছেন অনন্য উচ্চতায়। আক্ষেপ ঝরেছে শেখ রেহানার মুখে, বাবা-মাকে যদি জানাতে পারতাম, সেই আলসেখানার আপা আজ কত পরিশ্রম করে!