Entertainment
Musician Azad Rahman no more
বেশ কয়েক দিন আগে একটা অপারেশন করিয়েছিলেন। সেটার পর আজকে তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেলেন। তার মধ্যে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ ছিল না।
আজাদ রহমানের বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তার মরদেহ আপাতত শ্যামলীর স্পেশালাইজড হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশে খেয়াল জনপ্রিয় করার পেছনে আজাদ রহমানের অবদান সবচেয়ে বেশি। তিনি বেশ কিছু দিন নজরুল ইনস্টিটিউটেও পড়িয়েছেন। চলচ্চিত্রে সংগীত শিল্পী হিসেবে তিনি একবার, সংগীত পরিচালক হিসেবে দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
‘জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো’, ‘ভালোবাসার মূল্য কত’, ‘ও চোখে চোখ পড়েছে যখনই’, ‘মনেরও রঙে রাঙাব’, ‘ডোরা কাটা দাগ দেখে বাঘ চেনা যায়’সহ অনেক গানে সুর দিয়েছেন তিনি।
আজাদ রহমানের জন্ম ১৯৪৪ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায়। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি কীর্তন, ধ্রুপদী সঙ্গীতের পাশাপাশি খেয়াল, টপ্পার চর্চা করেন।পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে এসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন আজাদ রহমান।
১৯৬৩ সালে কলকাতার ‘মিস প্রিয়ংবদা’ চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনার মধ্য দিয়ে আজাদ রহমানের চলচ্চিত্রে আগমন। সেই চলচ্চিত্রে তার সুরে কণ্ঠ দেন মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, আরতি মুখার্জি ও প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৭৭ সালে ‘যাদুর বাঁশি’ চলচ্চিত্রের জন্য এবং ১৯৯৩ সালে ‘চাঁদাবাজ’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ‘চাঁদাবাজ’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবেও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।