Entertainment
Popular Bangladeshi actor Tele Samad dies
দীর্ঘদিন ধরেই নানা অসুখে ভুগছিলেন বরেণ্য এই অভিনেতা। গতকাল শুক্রবার শরীর বেশি খারাপ হলে রাত ১টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার তার মৃত্যু হয়েছে। টেলি সামাদ স্কয়ার হাসপাতালে ডা. প্রতীক দেওয়ানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা টেলি সামাদকে এর আগে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাইপাস সার্জারি করা হয়। এ ছাড়া গত বছরের ২০ অক্টোবর তার বাঁ পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলিতেও জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।
সর্বশেষ গত বছরের ৪ ডিসেম্বর অসুস্থ হয়ে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন টেলি সামাদ। তখন চিকিৎসক বলেছিলেন, টেলি সামাদের খাদ্যনালীতে সমস্যা রয়েছে। শুধু তাই নয়, তার বুকে ইনফেকশন ছিল, ডায়াবেটিস ছিল। রক্তের প্লাটিলেটও কমে যাচ্ছিলো বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। সেখানে ১৬ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর বাসায় ফিরে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন চলচ্চিত্রের এক সময়কার দাপুটে অভিনেতা। সেজন্য তাকে গণ ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সে যাত্রায়ও সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরেন তিনি।
কিন্তু হঠাৎ করেই কয়েক দিন আগে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন টেলি সামাদ। পরে গতকাল অবস্থার অবনতি হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে আনা হয়। এখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় জীবনের অবসান হলো তার।
জনপ্রিয় এই অভিনেতার মৃত্যুতে চলচ্চিত্রসহ সংস্কৃতি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৫ সালের ৮ জানুয়ারি ঢাকার বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেন টেলি সামাদ। টিভি, চলচ্চিত্র ও মঞ্চে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনা এবং গানের জগতেও তার অবাদ বিচরণ। ‘মনা পাগলা’ নামের একটি ছবির সংগীত পরিচালনাও করেছেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার তুখোড় ছাত্র টেলি সামাদের ছিল অভিনয়ের নেশা। সেই নেশার টানেই ১৯৭৩ সালে ‘কার বউ’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। চার দশকে পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তার অভিনীত সর্বশেষ ছবি ‘জিরো ডিগ্রি’ মুক্তি পায় ২০১৫ সালে। শেষ জীবনে চলচ্চিত্র থেকে দূরে ছিলেন তিনি। সারাদিন বাসায়ই থাকেন। টিভি দেখতেন, ছবি আঁকতেন। ব্যক্তিজীবনে এক মেয়ে ও এক ছেলের বাবা টেলি সামাদ।
টেলি সামাদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন।