Entertainment
Priyanka Chopra meets Rohingya in Bangladesh, walks with the children in camp
সোমবার বিকেলে টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর মনখালি ব্রিজের পাশে অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবিরে যান তিনি।
এ সময় তাঁর পরনে ছিল কালো জিনসের প্যান্ট, টি-শার্ট আর মাথায় স্কার্ফ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইউনিসেফ ও স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। গাড়ি থেকে নেমেই রিফাত হোসেন নামে এক শিশুকে বাংলায় জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমাদের এখানে আমাকে ঘোরাবে?’ মাথা নেড়ে সম্মতি জানায় ওই রোহিঙ্গা শিশু। এরপর তার হাত ধরে রোহিঙ্গা শিবিরে হাঁটলেন বলিউড তারকা।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আসছেন, খবরটি আগে থেকেই রটে যায়। তাই অতিথিদের গাড়ি এসে থামতেই ভিড় করেন রোহিঙ্গা শিবিরে থাকা মানুষজন। সঙ্গে আরও আসেন স্থানীয় অধিবাসীরা।
যে তারকাকে সবাই দেখেছেন হিন্দি চলচ্চিত্রে, তাঁকে কাছ থেকে এক নজর দেখার জন্য সবার চেষ্টা। মুহূর্তেই ভিড় বেড়ে যায়। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আগে থেকেই পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় সেখানে। পুলিশ ধাক্কা দিয়ে আর লাঠিপেটা করে সবাইকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে বাধা দেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। পুলিশকে অনুরোধ করেন, ‘প্লিজ, কাউকে এভাবে সরাবেন না। ধাক্কা দেবেন না।’
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এ সময় আরেকটি শিশুর সঙ্গে কথা বলেন। বাংলায় ছেলেটিকে তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার নাম কী?’ ছেলেটি বলল, মো. রফিক। ‘তুমি স্কুলে যাও?’ ছেলেটি মাথা নেড়ে বলল, যাই।
তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ইউনিসেফ পরিচালিত হাসপাতালে।
এ সময় বাইরের কাউকে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। জানা গেছে, প্রিয়াঙ্কা সেখানে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেন। পানিবাহিত রোগের ব্যাপারেও জানতে চান।
এ সময় তাঁকে জানানো হয়, এই অস্থায়ী শিবিরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
বিকেল ৪টার দিকে প্রিয়াঙ্কা গাড়িতে গিয়ে ওঠেন। যাওয়ার আগে হাত নাড়িয়ে সবার কাছ থেকে বিদায় নেন। বাংলায় বললেন, ‘আবার আসব।’ প্রিয়াঙ্কা ১৯ মে ব্রিটিশ রাজপরিবারের আমন্ত্রণে প্রিন্স হ্যারি আর মেগান মার্কেলের রাজকীয় বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে তিনি দুবাই হয়ে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে ঢাকায় এসেছেন।