Entertainment
Rohingya crisis: Priyanka Chopra left teary eyed
সফরের দ্বিতীয় দিনে গতকাল মঙ্গলবার তিনি যান টেকনাফের হাড়িয়াখালীর ভাঙ্গার এলাকায়। প্রয় ৯ মাস আগে রোহিঙ্গা-ঢলের অন্যতম প্রবেশ পথ ছিল এই এলাকা। নাফ নদী আর বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ সড়কের এই অংশ দিয়ে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গার বেশির ভাগই এসেছিল। তাদের দুর্দশার কথা শুনে এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা জেনে বার বার চোখের জল মোছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ সড়ক থেকে প্রিয়াঙ্কা টেকনাফের নেটং (উঠনি) পাহাড়ের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে গেলে তাঁকে জানানো হয়, নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমার থেকে কীভাবে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসেছে। এখান থেকে পূর্ব দিকে মিয়ানমার ও পশ্চিমে টেকনাফ এবং জলিলের দিয়া।
এরপর প্রিয়াঙ্কা লেদা বিজিবি চৌকির কাছে ইউনিসেফ পরিচালিত রোহিঙ্গা শিশুদের খেলাধুলার জন্য তৈরি স্থান পরিদর্শন করেন। পরে প্রিয়াঙ্কা আসেন উখিয়ার বালুখালীতে অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবিরে। এখানে ইউনিসেফ পরিচালিত শিশুবান্ধব কেন্দ্রে এসে ঘণ্টাখানেক কাটান। তিনি শিশুদের সঙ্গে লুডু খেলেন। তাদের আঁকা ছবি নিয়ে গল্প করেন। তিনি খেলনা চায়ের কাপ নিয়েও শিশুদের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন। পরে প্রায় মিনিট ১৫ হেঁটে লোকজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে শিবির ছেড়ে যান।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা শিশুদের দুর্দশা নিজের চোখে দেখতে এবং তাদের সহায়তায় বিশ্ব জনমত জোরদার করতে বাংলাদেশে এসেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। প্রায় এক দশক ধরে ইউনিসেফের সঙ্গে যুক্ত প্রিয়াঙ্কা ২০১৬ সালে শিশু অধিকারবিষয়ক বৈশ্বিক শুভেচ্ছাদূত মনোনীত হন। সিরিয়ার শরণার্থী শিশুদের দেখতে গত বছর জর্ডানে যান তিনি।
গতকাল সারা দিন ঘোরাঘুরির পর রোহিঙ্গাদের নিয়ে ইনস্টাগ্রামে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তিনি লিখেছেন, নদীর ওপারে মিয়ানমার। এখন সেটা শূন্য।
কয়েক মাস আগেও সাবরাং নামে পরিচিত এলাকাটিতে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা ছিল। মিয়ানমার ছেড়ে রোহিঙ্গারা পালিয়ে এসেছে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশ যাত্রা প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, তাদের সেই যাত্রা অনেক প্রতিকূলতা আর চরম বিপজ্জনক।
অনেকে কয়েক দিন হেঁটে পাহাড় পেরিয়েছে। এরপর নাফ নদী কিংবা বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়েছে ভেলায় চড়ে। তাদের অনেকেই আহত, অন্ত:সত্ত্বা আর বয়োজ্যেষ্ঠও ছিল।
এখানেই তাদের যন্ত্রণার শেষ নয়। শিশুদের ওপর ভয়াবহতার প্রভাব সম্পর্কে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বলছেন, ওই যন্ত্রণা জীবনের বাকিটা অংশ রোহিঙ্গা শিশুদের শারীরিক আর মানসিকভাবে আতঙ্কের মাঝে রাখবে। আপনার সহায়তা তাদের ভবিষ্যতের জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারে। কেননা এ মুহূর্তে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।