Entertainment
Srabanti gets divorced
স্বামী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম গত ৭ মে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন।
নোটিশের পর স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আর যৌতুকের মামলা করেন শ্রাবন্তী।
জানা গেছে, গত ৭ মে বগুড়া সদরের কালীতলার শিববাড়ির শ্রাবন্তীর বাবার বাসার ঠিকানায় তালাকের নোটিশ পাঠান খোরশেদ আলম। বিষয়টি জানাজানি হবার পর তালাক নিয়ে গণমাধ্যমে কথাও বলেন তিনি। এরপরই উঠে আসে স্ত্রী শ্রাবন্তীর করা মামলার বিষয়টিও। রাজধানীর খিলগাঁও থানায় শ্রাবন্তী মামলা করার দাবি জানালেও পুলিশ এ ব্যাপারে কিছুই জানে না।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর ইপসিতা শবনম শ্রাবন্তী ও মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সংসার জীবন শুরু করেন। এখন ভেঙে যাওয়ার পথে সেই সংসার। শ্রাবন্তী দীর্ঘদিন যাবৎ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। গত ২৫ জুন তিনি দেশে ফেরেন। এখন আছেন বগুড়ায়।
জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে থাকতেই স্বামীর পাঠানো তালাকের নোটিশের খবর পেয়েছেন শ্রাবন্তী। এরপর দ্রুত দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে দেশে আসেন। তাদের বড় মেয়ে রাবিয়াহ আলমের বয়স সাত আর ছোট মেয়ে আরিশা আলমের সাড়ে তিন বছর। তালাকনামা ও মামলা সম্পর্কে গণমাধ্যমে শ্রাবন্তীর কথা বলার পর মুখ খুলেন স্বামী মোহাম্মদ খোরশেদ আলমও।
তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে থাকার জন্য পারিবারিকভাবে আমরা অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। সবরকম চেষ্টা করেই আমরা ব্যর্থ। এরপর ডিভোর্সের এই সিদ্ধান্তও পারিবারিকভাবেই এসেছে। সুতারাং বিবেচনা করার আর কিছু নেই।’
শ্রাবন্তীর বিরুদ্ধে স্বামী হিসেবে প্রধান অভিযোগ কী? জানতে চাইলে খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমাদের ভেতরে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, আস্থার জায়গাটা নষ্ট হয়ে গেছে। যেটা একসঙ্গে থাকলে আরও ধ্বংস হবে। আরও খারাপ দিকে যাবে বলে আমি মনে করছি। সরে আসাই দুজনের জন্য ভালো হবে।’
