Entertainment

ছবির দুনিয়াতেও উন্নতির পথ খুঁজছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবির দুনিয়াতেও উন্নতির পথ খুঁজছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

| | 26 Jul 2017, 10:28 am
ঢাকা, জুলাই ২৫ঃ শুধু একটি রাষ্ট্রের আর্থিক উন্নতির মাধ্যমেই হয়না।

কলা, সিনেমা, সাহিত্যের উন্নতিও ও তাঁর দুনিয়াভর জনপ্রিয়তার ফলেও একটি দেশের নিজস্ব স্থান হয়।

 

এই বিষয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন।

 

দেশের প্রত্যেক ক্ষেত্রের মত চলচ্চিত্রের দুনিয়াতেও দেশকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

উনি বলেছেন যে এই লক্ষ্য পাওয়ার জন্য সরকারীভাবে যা সম্ভব করা হবে।

 

তারকাদের মাঝে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৫ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি আজ অনুষ্ঠিত হয়।

"সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ," অনুষ্ঠানে বলেন হাসিনা।

 

"এই ক্ষেত্রটাতে যেন আমরা পিছিনে না থাকি। এই ক্ষেত্রটায়ও যেন আমরা আন্তর্জাতিক মানের গড়ে তুলতে পারি," উনি বলেন।

 

হাসিনা বলেনঃ "যা সহযোগিতা দরকার আমি করব," উনি বলেন।

 

উনি সকলকে আহ্বান করেন যে আগামী দিনে যেন বাংলাদেশের চলচিত্র শিল্প আন্তর্জাতিক মঞ্চে দাগ কাটতে সক্ষম হয়।

 

আজকের অনুষ্ঠানে ২৫টি ক্যাটাগরিতে ৩১ জন শিল্পী ও কলাকুশলীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন হাসিনা।

 

অভিনেত্রী শাবানা ও কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌসী রহমানকে সম্মানিত করা হয়েছে আজীবন সম্মাননা দিয়ে।

 

শাকিব খান ও মাহফুজ আহমেদ পেয়েছেন সেরা অভিনেতার খেতাব।

 

জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান পেয়েছেন সেয়া অভিনেত্রীর শিরোপা।

 

অন্যদিকে, এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে বাপজানের বায়োস্কোপ ও অনিল বাগচীর একদিন।

 

হাসিনা আজকের মঞ্চে বলেন যে দেশে দক্ষ স্ক্রিপ্ট রাইটারের প্রয়োজন আছে।

 

আধুনিকীকরণের কথা তুলে ধরে, উনি বলেনঃ "হলকে আধুনিক করে দিতে চাই, যেন সিনেমা হলে দর্শক ফিরে আসে।”


নিজের কর্মগুনেই সকলের মন আজ জয় করতে সফল হয়েছেন হাসিনা।

 

উনি দেশের প্রধান এক নেত্রী। তবেিতার থেকেও বেশি উনি হলেন এক আদর্শ নাগরিক।

 

প্রত্যেক সম্পর্ক যে দেশের ভীত গড়তে গুরুত্বপূর্ণ তা বঝেন শেখ হাসিনা।

 

একজন মায়ের মত সবসময় দেশের মানুষকে ঠিক পথে চল্বার জন্য অনুপ্রেরণা দেন উনি।

 

আর কিছুদিন আগে দেখা গেল একজন মায়ের রূপে দেশের তরুণ স্বামী ও স্ত্রীদের সঠিক পথ দেখান উনি।

দেন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ।

হাসিনা রোববার একজন স্বামী ও স্ত্রীকে সংসারের কাজকর্ম ভাগ করবার পরামর্শ দিয়েছেন।

উনি বলেছেন এই পদক্ষেপের জন্য সময়ের সাশ্রয়ের পাশাপাশি পরস্পরের সান্নিধ্যে পাওয়া যাবে।

 

হাসিনা বলেনঃ "আমরা সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।"

 


স্বামী ও স্ত্রীকে একসাথে কাজ করতে আহ্বান করে হাসিনা বলেনঃ "সময় যেমন সাশ্রয় হবে।"

 

"পরস্পরের সান্নিধ্যে সময়টাও কেটে যাবে এবং যা দেশের অগ্রগতিতেও অবদান রাখবে," উনি বলেন।

 


ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২১ এবং ১৪২২ প্রদান করেন হাসিনা।

 

সেই সময় নিজের বক্তব্য রাখার সময় হাসিনা এই কথাগুলি বলেছেন।


সমাজে পুরুষদের 'টায়ার্ড' হতে বারণ করে বলেনঃ "আমাদের সমাজটা পুরুষশাসিত সমাজ কিন্তু ওনারা তাড়াতাড়ি টায়ার্ড হয়ে পড়েন। তো ভবিষ্যতে আর টায়ার্ড হবেন না।"

 

"সবাই সবাইকে সাহায্য করবেন। যাতে কেউ টায়ার্ড না হন। সবাই যেন ভালোভাবে কাজ করতে পারেন,"উনি বলেন।

 

হাসিনা বলেন ওনার ছেলে ও তাঁর স্ত্রী দুজনে দুজনকে সহযোগিতা করেন।

 

আবার এক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জনগণের থেকে যাতে দূরে না সরে যান সেই বিষয়েও মাথায় রাখেন উনি।

 

হাসিনা শনিবার জানান যে নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য উনি জনবিচ্ছিন্ন হতে চান না।

 

এই বিষয় উনি সতর্ক থাকতে বলেছেন স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সকে (এসএসএফ) ।

হাসিনা বলেছেন যে সমস্ত ক্ষমতার উৎসে আছেন দেশের জনগণ।

 


প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসএসএফের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নিজের বক্তব্য রাখার সময় হাসিনা এই কথাগুলি বলেছেন।

 

"জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তাদের সেবা দেওয়া সম্ভব না," হাসিনা বলেন।

 

উনি আরও বলেনঃ "জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। আপনাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।"

 

উনি বলেন ওনার সরকার সব কাজ দেশের মানুষের জন্য করে।

 

হাসিনা বলেন যে এই দেশের ভিআইপিদের সাথে জনগণের স্বাভাবিক যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে।

 

উনি বলেন জনগণের সাথে দূরত্ব না তৈরি হয় সেই বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন।

 

আগে শিক্ষক ও বাবা মায়েদের নিজেদের সন্তানদের বিষয় সচেতন থাকতে বার বার বলেছিলেন হাসিনা।

 

এই কথাগুলি উনি দেশের মাটিতে গুলশান হামলায় বেশ কিছু তরুণের নাম উঠে আসার পর থেকে আরও জোড় দিয়ে বলেছিলেন বাবা ও মায়েদের।

 


আর সব পদক্ষেপেই উনি হয়ে উঠছেন আদর্শ এক নেত্রী, জনগণের কাছের প্রধানমন্ত্রী।