Finance

Bangladesh hosts Google Eye

Bangladesh hosts Google Eye

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 13 May 2018, 11:08 am
ঢাকা, মে ১৩ঃ গুগল ডেভেলপার গ্রুপ (জিডিবি) এবং লেটস লার্ন কোডিং (এলএলসি)’র সহযোগিতায় গত ৮ ও ৯ মে বহুল প্রতীক্ষিত গুগল ডেভেলপার কনফারেন্স ‘গুগুল আই/ও’র আয়োজন করে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সবার জন্য উন্মুক্ত মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন স্টোর- বিডিএপিপিএস।

এদেশে রবিই প্রথম টেলিযোগাযোগ অপারেটর হিসেবে এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার মাউনটেইন ভিউয়ে অবস্থিত গুগুলের গ্লোবাল হেডকোয়ার্টার থেকে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। বাংলাদেশে সর্বমোট প্রায় ১ হাজার ৫শ’ পেশাদার ও প্রযুক্তি-প্রেমী অনুষ্ঠানটির জন্য নিবন্ধন করেন।

রবি’র আইওটি অ্যান্ড প্রোডাক্ট ইনোভেশন’র ভাইস প্রেসিডেন্ট শওকত কাদের চৌধূরী বলেন, “এরকম একটা বৈশ্বিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং এর অংশ হতে পেরে রবি গর্বিত। রবি শুধু বাংলাদেশেই না, অন্যান্য দেশে যেখানে আজিয়াটা কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেসব দেশে এদেশের তরুণ ডেভলপারদের ব্যবসা প্রসারে সহায়তা করবে রবি।”

তরুণ ডেভলপারদের অংশগ্রহণ মোবাইল গ্রাহকদের জন্য নতুন নতুন উদ্ভাবনী পণ্য নিয়ে আসায় সহায়ক হবে বলে জানান তিনি। অনুষ্ঠানে আইসিটি ডিভিশন’র ডিপার্টমেন্ট অব আইসিটি’র কো-অর্ডিনেটর মো. তাহমিদ হাসান চৌধূরী, গুগুল ডেভলপারস গ্রুপ (জিডিজি) ঢাকা’র ম্যানেজার অমিত কুমার দে, লেটস লার্ন কোডিং (এলএলসি)’র সিইও মোহাম্মাদ সুমন মোল্লা সেলিম উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ব জুড়ে পেশাদার ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল গুগুল আই/ও ইভেন্ট। বিশেষ করে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ওপর নির্ভর করে ফোন কলের মাধ্যমে রেস্টুরেন্ট ও হেয়ার স্যালুন বুকিং করার বিষয়টি কল্পনাকে ছুঁয়ে গেছে। গুগল’র এআই’র ক্ষমতা দেখে মুগ্ধ ছিলেন রবি কর্পোরেট অফিসের দর্শকরা।

অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে প্রযুক্তির এ বিস্ময় দেখার জন্য বাংলাদেশের সব মোবাইল অ্যাপ ডেভলপাররা এক ছাতার নিচে মিলিত হয়েছেন। বাংলাদেশের ৫০ হাজারের বেশি অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপারদের মধ্যে এ উদ্যোগ প্রেরণা যোগাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশি ডেভলপার ও মোবাইল গ্রাহকদের জন্য বৃহত্তম ডেভলপার ইকো-সিস্টেম হলো বিডিঅ্যাপস। এ মুহুর্তে দুই হাজারের বেশি ডেভলপার বাংলাদেশের মোবাইল গ্রাহকদের জন্য তাদের অ্যাপ্লিকেশন সেবা প্রদান করছেন। ২০১৫ সালে চালু হওয়ার পর থেকে ২ হাজার ৭শ’ টির বেশি অ্যাপ্লিকেশন এই প্লাটফর্মে প্রদান করা হয়েছে এবং প্রতি মাসে ১২ লাখের বেশি গ্রাহক এ সেবা গ্রহণ করছেন।

এ প্লাটফর্মটির রাজস্ব ভাগাভাগির মডেলটির মাধ্যমে দেশের অনেক প্রতিভাবান তরুণ ডেভেলপার নিজেরমতো করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তাবায়নে অন্যতম ভূমিকা পালন করছে বিডিএপিপিএস।