Finance
Central Bank to auction gold loan after 10 years
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ডিসেম্বর ১৩: অবশেষে প্রায় সাড়ে ১০ বছর পর বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত স্বর্ণ নিলামের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। খুব শিগগিরই স্বর্ণের নিলাম ডাকা হবে। বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে ভ্যাট, ট্যাক্স নিরূপণ সংক্রান্ত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে আরও কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। তা হলো- বর্তমানে যাদের কাছে অবৈধ স্বর্ণ রয়েছে তারা ভরিপ্রতি এক হাজার টাকা সরকারকে দিয়ে তা বৈধ করে নিতে পারবেন। আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারককে ভরি প্রতি শুল্ক দিতে হবে দুই হাজার টাকা এবং ভ্যাটের হার রাখা হয়েছে পাঁচ শতাংশ। ব্যাগেজ রুলের আওতায় শুল্ক আগের মতোই রাখা হয়েছে। একটি স্বর্ণমেলার আয়োজন করে সব অবৈধ স্বর্ণ বৈধ করা হবে।
বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, অর্থ বিভাগের সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, এসআরও (প্রজ্ঞাপন) জারির পর যেকোনো দিন বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত স্বর্ণের নিলাম ডাকা হবে। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা স্বর্ণ নীতিমালা-২০১৮ প্রণয়ন করেছি। আজকে ভ্যাট ও ট্যাক্স নিরূপণে বৈঠকে বসেছিলাম। সবকিছু চূড়ান্ত করে ফেলেছি। চলতি মাসেই এ সংক্রান্ত এসআরও জারি করবে এনবিআর।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত স্বর্ণের নিলাম প্রায় সাড়ে এক দশক ধরে দেয়া হচ্ছে না। এই সময়ে ক্রমেই বেড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রক্ষিত স্বর্ণের পরিমাণ। র্বুমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ৯৬৩ কেজি স্বর্ণ জমা আছে। নিয়ম অনতসারে, মামলা নিষ্পত্তির পর রক্ষিত স্বর্ণ নিলামে তোলার কথা। কিন্তু ২০০৮ সালের ২৩ জুলাইয়ের পর নিলামে আর স্বর্ণ বিক্রি করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে একদিকে যেমন এসব স্বর্ণ অব্যবহৃত রয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে রাষ্ট্র রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। কেননা এই পরিমাণ স্বর্ণ নিলামে তুললে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে হাজার কোটি টাকা জমা হতো। এ ছাড়া নিরাপত্তা নিয়েও করতে হতো না বাড়তি চিন্তা।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত স্বর্ণের নিলাম প্রায় সাড়ে এক দশক ধরে দেয়া হচ্ছে না। এই সময়ে ক্রমেই বেড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রক্ষিত স্বর্ণের পরিমাণ। র্বুমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ৯৬৩ কেজি স্বর্ণ জমা আছে। নিয়ম অনতসারে, মামলা নিষ্পত্তির পর রক্ষিত স্বর্ণ নিলামে তোলার কথা। কিন্তু ২০০৮ সালের ২৩ জুলাইয়ের পর নিলামে আর স্বর্ণ বিক্রি করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে একদিকে যেমন এসব স্বর্ণ অব্যবহৃত রয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে রাষ্ট্র রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। কেননা এই পরিমাণ স্বর্ণ নিলামে তুললে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে হাজার কোটি টাকা জমা হতো। এ ছাড়া নিরাপত্তা নিয়েও করতে হতো না বাড়তি চিন্তা।
জানা যায়, নিয়ম অনুসারে স্বর্ণের নিলাম করে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু পরে দেখা গেল, স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে সিন্ডিকেট করে বাজারদরের চেয়ে অনেক কমমূল্যে স্বর্ণ কিনে নিত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যেখানে কিছুই করার থাকত না। ফলে বাধ্য হয়েই নিলাম বন্ধ করে দেয়া হয়। উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর স্বর্ণ নীতিমালা অনতমোদন করে মন্ত্রিসভা।