Finance
Coal excavation starts
জানা যায়, খনির ১৩১৪ নম্বর ফেসের টানেল নির্মাণকাজ শেষে নতুন এই ফেসে কয়লা কাটিং মেশিনসহ আনুষঙ্গিক মেশিনপত্র স্থাপন করা হয়েছে। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দু’দিন আগেই পরীক্ষামূলক কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে খনির চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়াম, খনি কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশি খনি শ্রমিকরা ১০ সেপ্টেম্বর থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১৩১৪ নম্বর ফেস থেকে পুরোপুরি কয়লা উত্তোলন শুরু করবে। এর আগে গত ১৫ জুন খনির উৎপাদনশীল ১২১০ নম্বর কোল ফেসের উৎপাদনযোগ্য কয়লার মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় ১৬ জুন থেকে খনির কয়লা উত্তোলন বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
উৎপাদন শুরু না হওয়া পর্যন্ত মজুত কয়লা দিয়ে কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চলার কথা ছিল। কিন্তু ১ মাস ৫ দিনের মাথায় এসে ১৯ জুলাই খনির ইয়ার্ড থেকে ২৩০ কোটি টাকার প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার টন কয়লা উধাও হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। ২২ জুলাই কয়লার মজুত শূন্যের কোটায় নেমে আসে। এতে কয়লার অভাবে ২২ জুলাই থেকে বড়পুকুরিয়ায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় শুরু হয় বিদ্যুতের ভয়াবহ লো-ভোল্টেজ ও লোডশেডিং।
গত ২৬ আগস্ট খনির প্রশাসনিক ভবনে পিডিবি, চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়াম ও বিসিএমসিএল’র মধ্যে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে ১০ সেপ্টেম্বর বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। তবে কবে থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হবে সে সিদ্ধান্ত হয়নি।