Finance
Despite good production, farmers are sad today
গত বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় দাম কম পেয়ে হতাশ কৃষকরা। গত বছর মৌসুমের শুরুতে ধান বিক্রি হয়েছে ৭৪০ টাকা মণ দরে, সেই ধান এবার বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ টাকায়।
কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় যেকোনো ফসল আবাদের জন্য মাটির গুনগত মান খুবই ভালো। এজন্য কৃষকেরা বেশি পরিমাণ জমিতে ধান আবাদ করে থাকেন। ফলনও ভালো পান। চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৫ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ৯০ ভাগ জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ধান চাষ হয়েছিল। আবহাওয়া ভালো ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় ধানের ফলন খুবই ভালো হয়েছে।
এ সময় কৃষকেরা বলেন, হাটে ধানের আমদানি বাড়লেও দাম বাড়ছে না। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে। তখন আমদানি আরও বেড়ে যাবে, সঙ্গে দাম আরও পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর কৃষকেরা দ্রুত টাকা পাওয়ার আশায় ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গেই বিক্রির জন্য হাটে ছোটেন।
কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন করে ঘরে তুলতে (জমি প্রস্তুত থেকে শুরু করে মাড়াই শেষ পর্যন্ত) প্রায় ১৫ হাজার ৮৪৪ টাকা খরচ হয়েছে। ধান ও বিচালি বিক্রি করে ঘরে আসছে প্রায় ১৯ হাজার ৪৫০ টাকা। অর্থাৎ চার মাস জমিতে খাটুনিতে বিঘা প্রতি প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। এই লাভ দিয়ে কিছুই হয় না।
তবে জেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক কৃষকদের কৌশলী হতে বলছেন। তিনি বলেন, দাম যেহেতু কম সেহেতু ধান বিক্রি না করে বাড়িতে কয়েকদিন সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন কৃষক। দাম বাড়লে সেসময় বিক্রি করার পরামর্শ দেন তিনি। তবে দাম বাড়ানোর বিষয়ে তিনি সরকারের উচ্চপর্যায়ের বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেছেন।